ফেনীর জেলার দাগনভূঞার উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের নেয়াজপুর থেকে মিফতাহুল মালিহা আফরা নামের (৬) এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ দাগনভূঞা থানার পুলিশ।
শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন কবরস্থানের পাশ থেকে তার শিশু মালিহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় ক্লাস চলাকালীন ওয়াশ রুমে যাওয়ার কথা বলে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হলে পরে সে আর ক্লাসে ফেরেনি।
নিহত শিশুর মা জানান, বেলা ১১টায় তার স্কুল ছুটি হয়। এ সময় তার এক সহপাঠী অনেক আগে আফরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেছে বলে জানায়। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইক দিয়ে খোঁজা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে স্কুলের পাশে একটি গাছের নিচে গাছের লতা দিয়ে হাত-পা বাঁধা দেখতে পেয়ে তার মাকে খবর দেন।
শিশুর ফুফু তোহরা আক্তার বিউটি জানান, আমাদের বাড়ির পাশেই বিদ্যালয়। সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাসের ফাঁকে পানি খাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এর পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন কবরস্থানের ঝোঁপের ভেতর কে বা কারা শিশুটি ধর্ষণের পর হত্যা করে বড় একটি গাছের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।
দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম জানান, শিশুটি শনিবার সকালে স্কুলে যায়। দুপুরে স্কুলের পাশে একটি বাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শিশুটির মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা সোনাগাজী সার্কেল এএসপি মোঃ মাসুকুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার সুরতহাল কমপ্লিট করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’