পৃথিবীর গভীরতম পাইলের এই স্বপ্নের সেতু পদ্মা। এ নদীর তলায় নরম ও স্রোতের তোড়ে সরে যাওয়ার মতো মাটির পরিমাণ বেশি। এই ধরণের মাটির উপর এতো ভারী একটি কাঠামোকে দৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো ছিল প্রকৌশলীদের কাছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এই সেতুর পিলারের পাইলিং করা ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্চ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের (মূল সেতু) নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিটি পিলারের ব্যাস বিশাল। ১০ ফুট। অর্থাৎ একটি বিশাল ঘরের সমান। প্রতিটি পিলারের নিচে ৬টা থেকে ৭টা বড় বড় পাইল রয়েছে। পদ্মা সেতুতে মোট ৭১টি পিলার নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে দামি দামি বিদেশি সিমেন্ট। কেননা পদ্মার তলদেশের মাটির কণা আর আমাদের দেশের সিমেন্টের যে কণা তা দিয়ে পিলারের গ্রাউটিং সম্ভব নয়। পরামর্শকদের নির্দেশক্রমে, প্রতিটি পিলারে ব্যবহৃত হয়েছে মাইক্রো ফাইন সিমেন্ট। যা অস্ট্রেলিয়ে থেকে আমদানি করে আনা হয়েছে। মাইক্রো ফাইন সিমেন্টকে বলা হয় অত্যন্ত মিহি সিমেন্ট। সাধারণ সিমেন্ট থেকে অনেক মিহি ও অনেক দামি সিমেন্ট। বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ৫০ কেজির প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। আর পদ্মা সেতুর পিলারে ব্যবহৃত মাইক্রো ফাইন সিমেন্টের প্রতি ব্যাগের দাম পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা।