|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লক্ষ্মীপুরে ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ জুন, ২০২২
লক্ষ্মীপুর সদর পূর্ব অঞ্চলের একমাত্র খেলার মাঠ হচ্ছে মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাচীনতম খেলার মাঠটি। স্কুলটি স্থাপিত হয়-১৯৪৬ইং সাল।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি নবনির্মিত ভবনের কাজ শুরু করার ফলে মাঠ ছোট হয়ে যায়। এতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মাঠ রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম নেমে পড়েন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ক্রিড়াপ্রেমীর ব্যানারে প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ ১৫টি ক্লাবের দায়িত্বশীল লোকজন ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন থেকে বলা হয়। মাঠ রক্ষার্থে আগামীকাল তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে।
ক্লাব গুলো হচ্ছে- রতনপুর ক্রিড়া ও সমাজকল্যাণ ক্লাব, তরুণ ক্লাব, মান্দারী টাইগার ক্লাব, রতনের খিল ভিক্টোরিয়া ক্লাব, দুর্বার জাগরণী ক্লাব, নরসিংহপুর সমাজ যুব সংঘ, মান্দারী একাদশ ও মটবী আদর্শ ক্লাব।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ১৪নং মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারী, মান্দারী পল্লী উন্নয়ন ক্লাবের সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ফয়সাল, মান্দারী ইয়াং টাইগার্স ক্লাবের সভাপতি আবু তালেব, সহ-সভাপতি শেখ রাসেল, মান্দারী রোয়ার ক্লাবের সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনি, মান্দারী ফুটবল একাডেমির সভাপতি পলাশ, মান্দারী মহারতী একাদশের সভাপতি বাপন চন্দ দাস, মাতৃবন্ধন বাংলাদেশের সভাপতি শওকত পাটোয়ারী ও মান্দারী ফ্রেন্ডস সার্কেল ক্লাবের সভাপতি শাহারিয়ার অন্তরসহ আরো অনেকে।
বক্তরা বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের গাবতলির কারণে প্রাচীনতম এই খেলার মাঠটি ছোট হয়ে গেছে । আমরাও চায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হোক। উন্নয়ন হোক, তবে যেখানে ভবন করার জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে ভবন না করে কর্তৃপক্ষ মাঠের পশ্চিম পাশে ভবন করবে। সেটা আমরা কখনো হতে দিবো না। কারণ এই অঞ্চলে আর কোনো বড় মাঠ নেই খেলার জন্য। বর্তমান সরকার ও বারবার বলে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী করতে। সেখানে যদি খেলার মাঠ না থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় খেলাধুলা করবে?
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, নতুন ভবন করা পূর্বে সম্প্রতিকালে একটি নতুন হল রুম করা হয় মাঠের পূর্ব পাশে। সেদিকে মাঠ ৩৬ ফুট বেড়েছে। আর এখন যে ভবনটি পশ্চিম পাশে নতুন করে করা হচ্ছে সেখানে মাত্র ৩০ ফুট। এখনো আমার ৬ ফুট রয়েছে। এতে খেলার মাঠের কোনো সমস্যা নেই। অযথা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ভবনের কাজ বন্ধ করে আন্দলোন করছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহিম সাক্ষাৎকারে জানান, আমাদের পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও শিক্ষকরা বসে সীধান্ত নিয়ে এ ভবনের কাজ শুরু করা হয়। এখানে কারো ব্যক্তি স্বার্থ নেই। যদি কেউ ভুলভাল বুঝে, সেটা তাদের ব্যাপার। নতুন ভবনটি হলে চতুর্দিকে স্কুল থাকবে, মাঝখানে মাঠ। পুরো ক্যাম্পাসটি খুব চমৎকার লাগবে। যেতু এখন কাজ বন্ধ। এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক যে সীধান্ত নেয় আমরা, সেই সীধান্ত মেনে নিবো।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এমরান হোসেন মুঠোফোনে জানান, এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ আসলে, বিষয়টি তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাই সামগ্রীকভাবে কাজটি বন্ধ রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। দ্রুত শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.