দেশ বিদেশের পরিস্থিতি যখন বিপদে দিকে,জিনিসপত্রের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া এরই মাঝে দেশে হিন্দুনির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত,নেই কোন এর প্রতিকার,তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশের সম্পদ সহ বিভিন্ন জেলায় হামলা মামলা ও জমি দখলের মতো জৃগন্ন্যতম কাজ চলছে।
বাগেরহাট রামপাল উপজেলার গাজীখালী গ্রামের তপন মিস্ত্রি পরিবার নিজ ভোগদখলীয় জমিতে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন।
৭ইং জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই মৎস্যঘের দাবী করে শ্রীফলতলা গ্রামের আ.রশিদ ও তা পুত্র রকিব শেখ জমির বেড়িবাঁধ কেটে দিয়ে মাছ ধরতে থাকেন। খবর পেয়ে তপন ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দিলে আ.রশিদ, তার পুত্র রকিব শেখ এবং রাজীব শেখ, কলিপ শেখ, সজীব শেখ, শাকিল শেখ, আ. রশিদ ও কবীরসহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন দা, লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে মারপিট ও ফিল্মি স্টাইলে
কোপাতে থাকেন।
এই ঘটনায় ৭ গৃহবধূসহ ১৩ জন আহত হন। গৃহবধূ সিনারী মিস্ত্রি, স্মৃতি মিস্ত্রি, সজীব মিস্ত্রি, সুবীর মিস্ত্রি, জ্যোতিষ মিস্ত্রি, গৌতম মিস্ত্রি, শিখা মিস্ত্রি, উজ্জ্বল মিস্ত্রি, ছায়া রানী, লাভলী রানী, সীমন্ত মিস্ত্রি ও কবিতা মিস্ত্রি গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে মাথায় কোপানো চার জনকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় প্রতিপক্ষ আ.রশিদ শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওসব জমি আমি ক্রয় করেছি। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করে বলেন আমার পুত্র রকিবক ও আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার রামপাল থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মারপিটের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন,এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন আরও জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি, তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকায় মানুষ এই নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, সেই সাথে রামপাল থানা প্রশাসনের কাছে এই হামলার সাথে জড়িত সকলকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবী করে ভুক্তভোগী পরিবার।