|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় চলছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৪ জুন, ২০২২
অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্ট দেওয়াসহ নানান অভিযোগ দীর্ঘদিনের। করোনার সময় এ অভিযোগ ছিল আরও বেশি। তবু ঐ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। এখন হঠাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর তথ্য সুত্রে জানা যায় , চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২৭ টি বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ টি। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২৭টি প্রতিষ্ঠান থাকলেও সর্বশেষ তথ্যমতে, নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি কোন প্রতিষ্ঠান। আর লাইসেন্স ও নবায়ন চেয়ে আবেদন করেছে ২১ টি প্রতিষ্ঠান।খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু লাইসেন্স কিংবা পরিবেশগত ছাড়পত্র নয়, অনুমোদন থাকা অনেক হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের নিয়োগপত্রও নেই। এমনকি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা না থাকা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের লাইসেন্স, প্যাথলজিস্ট, রিপোর্ট প্রদানকারী চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টেরও তালিকা নেই অনেক হাসপাতালে। গত ২৯ মে রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাসলিমুন নেছা'র নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক চালানো ও লাইসেন্স না থাকায় আল - হেলাল হার্ট এন্ড মেডিকেল সেন্টারের ৫ হাজার টাকা ও রূপসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবং মোবাইল কোর্ট এর খবর পেয়ে রূপসা বাজারে মুনমুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও খাজুরিয়া বাজারের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার,মেডিট্রাস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আর কোন অভিযান না চালানোর কারণে আবার শুরু করেছে অবৈধ ভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যাতিত কোন হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সঠিক ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়নি।
স্হানীয় অনেকে জানান প্রশাসন এমন নিরব ভুমিকায় থাকার কারণে তারা অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করার সাহস পায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার নির্দেশনা এসেছে। আমরা কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান করেছে।অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আবার ও অভিযান শুরু করবো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.