|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুলিয়ারচরে রাতের আঁধারে শ্মশান ঘাট ভাংচুর-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৪ জুন, ২০২২
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে রাতের আঁধারে শ্মশান ঘাট ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩জুন) দিবাগত রাতের যে কোন এক সময়ে কে বা কাহারা কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পৈলনপুর (টিয়াকাটা) খালেকারকান্দি গ্রামের শত বছরের পুরনো শ্মশান ঘাট ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় গৌরাঙ্গ চন্দ্র বর্মণ (৫৫), দ্বিলিপি দাস (৫৫), অমৃত দাস (৪৫), ঈশ্বর দাস (৫০) ও গৌরাঙ্গ চন্দ্র বর্মণ (৪৫)দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, আমরা শনিবার ৪ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় আমাদের দীর্ঘ দিনের পুরানো শ্মশান ঘাট কে বা কাহারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে আমাদের ধর্মীয় অনিভূতিতে মারাত্মক ভাবে আঘাত লেগেছে। তারা শ্মশান ঘাট ভাঙ্গা নিয়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে বলেও জানান। করে বা কাহারা এই শ্মশান ঘাট ভেঙ্গেছে তার কোন কিছু এখনো জানা যায়নি। এটা গ্রামবাসীর জন্য মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান জজ, পৌর আওয়ামী লীগে আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, সৈয়দ কানন ও পৌর এলাকার মোঃ মোবারক হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ধারণা রাজনৈতিক কোন ফায়দা নেওয়ার জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ এ ঘটনা ঘটাইতে পারে।
আলি হায়দার নামক এক ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, আমার বুঝে আসছেনা, শান্ত কুলিয়ারচর কাদের সহ্য হচ্ছে না? কে বা কাহারা কুলিয়ারচরের শান্তি নষ্টে এসব করছে? তাহারা যেই হোক, তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে, দ্রুত সময়ের মধ্যে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এ সংবাদ পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বাণ চৌধুরী, কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (দায়িত্ব প্রাপ্ত) জ্যোতিশ্বর পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.