ফেইক আইডি একটি অভিশপ্ত নাম এসমস্ত আইডি দিয়ে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালায় একটি কুচক্রী মহল । এসমস্ত ফেইক আইডির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা।
অনুসন্ধানে জানা যায় মতলব দক্ষিন উপজেলাসহ দেশের প্রায় সবজায়গায় যে সমস্ত ফেইজবুক আইডি নিজেদের নাম পরিচয় গোপন করে অন্য কোন নামে বা ছবি দিয়ে আইডি পরিচালনা করে। তারা সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে মিথ্যা ও বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সামাজিক ভাবে সম্মানহানি করছে। তাদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা কেউই । এ সকল ফেইক আইডি গুলোকে আমরা সবাই ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে আনফ্রেন্ড করলে এ ফেইক আইডি গুলো কারো নজরে আসবে না আসুন সকলে সম্মিলিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি ।
এ ফেইক আইডি দিয়ে সরকার, বিরোধীদল, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, ধর্মিয় গুনীজন, সাংবাদিক ও সাধারন নারী পুরুষ, কেউই ফেইক আইডি ধারীদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না । তাদের বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিন থানাসহ বিভিন্ন থানাশ একাধিক আইসিটি মামলা রয়েছে এবং প্রশাসনিকভাবে এসমস্থ ফেক আইডি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে যে কোন সময় তাদের ফ্রেন্ডলিষ্টে থাকা আইডির মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ কর হতে পারে ।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার নারী শিশু বয়স্ক প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেক্সের উপ পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন কতিপয় অর্বাচীন সমাজের নিগৃহীত বিপথগামী মানুষ পরিণাম উপলব্ধি করতে না পেরেই অতি নিম্নমানের ভাষায় যেকোনো বিষয়ে ফেইক আইডির মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। ফেইক আইডির মাধ্যমে যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য দিয়ে অপপ্রচার সম্পূর্ণভাবে নীতি গর্হিত এবং বেআইনি কাজ। এতে করে সমাজে মানুষের মনে বিষোদগার তৈরি হয় ;স্বাভাবিক শান্ত পরিবেশ বিনষ্ট হয়। গুণীজনদের অভিমত- সমাজের নিগৃহীত একলা চলা কালপ্রিট কতিপয় ব্যক্তি দেশ ও দশের নিয়ম-নীতি সামাজিকতা উপেক্ষা করে নিজের মতো করে অবাস্তব স্বপ্ন দেখে। এরাই একটা মোবাইল নির্ভর হয়ে যেনতেনভাবে বিশেষ চিন্তাবিদ হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়।
সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের বিনীতভাবে অনুরোধ করবো এদের চিহ্নিত করুন এদের বর্জন করুন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিন ।