|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ডোবায় ফোটা লাল পদ্ম নজর কাড়ছে পথচারীদের- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২ জুন, ২০২২
বিরামপুর পৌরসভার বেগমপুর ও মনিরামপুর- সড়কের কোল ঘেঁষে ডোবায় ফোটা লাল পদ্ম ফুলের সমারোহ সহজেই নজর কাড়ছে পথচারীদের।
বিরামপুর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে বেগম পুর সড়কে মনিরামপুর মোড়ে রাস্তার পাশেই এই ডোবা। সেখানেই ফুটেছে ছোট-বড় আকারের শত শত লালপদ্ম। সবুজ পাতার উপরে ফুটে থাকা ফুল আর ডোবা দেখে মনে হবে কোনো একটি পার্কের ভেতরের দৃশ্য। এমন দৃশ্য কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীসহ পথচারীদের মন। আবার বিরামপুর-ড়েলু পাড়া সড়কে চলা যানবাহনের যাত্রীদেরও নজর কাড়ছে এই পদ্মডোবা।
পদ্ম সাধারণত সাদা, নীল আর লাল হয়ে থাকে। তবে ছোট-বড় আকৃতির লাল পদ্মফুলগুলো দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায় সবার। ফুলগুলো সকাল হলেই তাদের পাপড়ি ছড়াতে থাকে, আবার দুপুরের পর থেকেই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। দেখে মনে হয় যেনো কোনো খেলা। তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুলগুলোর লীলাখেলা দেখতেও ছুটে আসেন কেউ কেউ।
বিরামপুর ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া রুবেল বলেন, এই গ্রামেই আমার বাড়ি। অনেক দিন যাবৎ এই ডোবায় পদ্মগুলো ফুটতে দেখা যায়। সকাল হলেই ফুলগুলোকে দেখতে আসি।
মোটরসাইকেল আরোহী পবন কুমার জানান, আমি ডাঙ্গাপাড়া বালিকা বিদ্যালযচাকরি করি, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাকে আসা-যাওয়া করতে হয়। সকালে যাবার সময় ডোবায় লাল পদ্মফুলগুলো ফুটে থাকে, একটু দাঁড়িয়ে দেখে যাই। তবে ফেরার পথে পাপড়িগুলো মেলা অবস্থায় আর দেখা যায় না।
কিশোর রনি নামে একজনকে ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয় জানতে চাইলে সে বলে, ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ডোবায় নামার চেষ্টা করছি কিন্তু এখানকার লোকজন নামতে দেয় না।
বেগম পুর স্থানীয় দোকানদার সাদেক বলেন, প্রায় সারা বছর আমাদের এই ডোবায় লাল পদ্মফুল ফোটতে দেখা যায়। ফুলগুলো রাস্তার দু'পাশের সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। আমরা এই সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেই না। গ্রামসহ বাইরের ছেলেরা ফুলগুলো পানিতে নেমে ছেড়ার চেষ্টা করে। তবে আমরা সবসময় খেয়াল রাখি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.