|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিরামপুরে পথেঘাটে গাছে গাছে কাঁচাপাকা খেজুর- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১ জুন, ২০২২
বিরামপুর পথেঘাট,খাল ও বিলের পাড়,বাড়ির আনাচেকানাচে থাকা খেজুর গাছে থোকায় থোকায় কাঁচা-পাকা খেজুরের ঝুলন্ত ঝোঁপা। আজ (১লা জুন) বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে পর্যবেক্ষণে দেখা যায় খেজুর ফলের সমারোহ। দেখা যায় বিরামপুর এলাকার পথ ঘাট বিলের পাড় রাস্তার ধারে দেখা যায় খেজুর ফল।
উক্ত খেজুর ফল বছরে দুইবার হয়। তবে শীতকালে পাওয়া যায় যে,মিষ্টি সুস্বাদু রস,গরমকালেও খেজুরের বাম্পার ফলন। বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে থাকা খেজুর গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর। তা দেখে প্রতিটি মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। উক্ত খেজুর গুলো পাকতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। সড়কের ধারে খেজুর গাছের খেজুরগুলো স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা পেড়ে খেতেও শুরু করেছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি,এখনও খেতে কষ কষ লাগছে, পাকলে তা আরও মিষ্টি হবে। উক্ত খেজুর ফল গুলো পাকলে অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে জনসাধারণের মন্তব্য।
এবিষয়ে তকিপুর গ্রামের হাশিম রেজা বলেন,আমার বাড়ির পাশে তিনটি খেজুরের গাছ আছে,বয়স অনেক হয়েছে। তিনটি গাছেই প্রচুর খেজুর ধরেছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা পাকবে বলে আশা করছি। কিন্তু গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা এখনি পেড়ে খেতে শুরু করেছে বলে জানা যায়। যোগবানি বাজারের রাস্তার পাশে খেজুর পাড়ছিলো কিশোর জুয়েল। তিনি বলেন ,এখনো পাকেনি,খেতে একটু কোষ্টা (কষ) লাগে তবে খেতে বেশ ভালোও লাগে। বসুন্ধারা গ্রামের হাসান বলেন,এখন তো আর আগের মতো খেজুরের গাছ নাই। আমার একটা খেজুরে গাছ আছে,এইবার প্রথম ফল আসছে। অনেক খেজুর ধরেছে,দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আর কয়েক দিন পর খেজুরগুলো পারবো বলে মন্তব্য করেন। এতে করে বাড়িতে খাওয়া ও বাজারে বিক্রি করতে পারব বলে জানান। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,বাংলাদেশে প্রতিটি ফলের চাষে স্হানীয় কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা মূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করে থাকেন এর পাশাপাশি খেজুর ফলের উপর বিশেষ নজর রাখলে অনেকাংশে বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ অনেক উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.