|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিরামপুর বাজার সুস্বাদু তালশাঁস খেতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৯ মে, ২০২২
দিনাজপুরের বিরামপুর বাজারে উঠতে শুরু করেছে তালশাঁস। সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। গত বছরের চেয়ে এই বছর তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
রোববার (২৯ মে) ১২টার দিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংকের সামনে মোকসেদ নামে এক ব্যক্তি অল্প কিছু তাল নিয়ে বসে আছেন। মৌসুমের শুরুতে তাই অল্প তাল বাজারজাত করেছেন তিনি। তবে অল্প তালের ক্রেতা বেশি, তাই তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত তিনি।
মোকসেদ বলেন, ‘এবার তালের ফলন অনেকটাই কম। গেলো বছর ৫০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে তাল গাছ ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা। তবে বর্তমান গাছের দাম আগের মতোই আছে, কিন্তু ফলন অনেক কম। যার কারণে তালশাঁসের দাম বেশি। গত বছর প্রতিটি তাল শাঁস বিক্রি করেছিলাম ৫ থেকে ৬ টাকা পিচ। এ বছর বিক্রি করছি ৭ থেকে ৮ টাকা পিচ।‘
এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তার পাশে দেখা যেতো তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম, কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে।
কথা হয় তালশাঁস কিনতে আসা রফিকুল এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তালের শাঁস স্বাদে ভরা। আমার পরিবারের সবার পছন্দ, তাই তালশাঁস কিনতে এসেছি। দাম অনেক বেশি, পরিবারের জন্য ১০টির অর্ডার দিয়েছি।
’অপর ক্রেতা সোহেল বলেন, ‘অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৩থেকে ৫টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি।’
তাল ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন, ‘তিলকপুর থেকে তাল নিয়ে বিরামপুর বাজারে এসেছি। প্রায় ১০ বছর ধরে এই তালশাঁসের ব্যবসা করছি। গত কয়েক বছর ধরে বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে তালশাঁস বিক্রি করি। মৌসুমি ফল তালশাঁস আজ প্রথম বিরামপুরে আনলাম। বেশি আনিনি, অল্প করে এনেছি। সবাই কেনার জন্য আসছে, তবে দাম বেশি হওয়াতে কম করে নিচ্ছে সবাই।’
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.