|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
চকরিয়ায় ডেকে নিয়ে বনদস্যুরা গুলি করে হত্যা করলো দিনমজুরকে,অভিযোগের তীর স্থানীয় চেয়ারম্যানের দিকে-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ মে, ২০২২
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনদস্যু রহমান বাহিনীর হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে দিনমজুর আমির হোসেন।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০ টার দিকে
ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ডুমখালী এলাকায়।
নিহত আমির হোসেন(৩৫) পূর্ব ডুমখালী গ্রামের মৃত কবির আহমেদের ছেলে।
চকরিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত আমির হোসেনের ভাগিনা নুরুল ইসলাম জানান,সোমবার রাত ৮টার সময় আমির হোসেনের সাথে মালুমঘাট স্টেশনে অবস্থান করার সময় স্থানীয় বনদস্যু রহমান আমিরকে ফোন করে বিচারের কথা বলে ডুমখালী খেলার মাঠে যেতে বলে এবং সেখানে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর এবং মেম্বার আব্দুস সালাম উপস্থিত আছেন বলে জানায়। মটরসাইকেলে করে ডুমখালী খেলার মাঠে নিয়ে যায়। মাঠের কাছে পৌঁছে চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও স্থানীয় এমইউপি সদস্য আবদুস সালামকে দেখে মোটরসাইকেল থেকে নামার সাথে সাথে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সামনে আমির হোসেনকে হাত পা বেঁধে আবদুর রহমান দা দিয়ে কোপ এবং সালাহউদ্দিন পেছন থেকে গুলি করে। মেম্বার আবদুস সালামকে বলতে শুনেছি "সালাকে (আমির হোসেনকে) একে বারে মেরে ফেল" এই ঘটনা দেখে নুরুল ইসলাম জানের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আমির হোসেনের বড় ভাই আহমদ হোসেন বলেন, গত নির্বাচনে তার ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদরের পক্ষে ভোট না করায় চেয়ারম্যান আদর ও মেম্বার আবদুস সালাম পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে স্থানীয় ইউসুফ আলীর পুত্র আবদুর রহমান(৩০) ও ফরিদুল আলমের ছেলে সালাহউদ্দিন(২৭)কে দিয়ে আমির হোসেনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহত আমির হোসেনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ জড়িত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব নয়।
চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জুয়েল ইসলাম জানান,
নিহত আমির হোসের পিঠে দুটি গুলি ও মুখে দুইটি কোপের দাগ রয়েছে বলে জানান।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ তফিকুল আলম বলেন, রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.