|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পায়রা বন্দরের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে টাগ বোট নির্মাণের কিল লেয়িং অনুষ্ঠিত-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ মে, ২০২২
দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরেকটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মাতো ৭০টন বোলার্ড পুল বিশিষ্ট ২টি টাগবোট নির্মাণ করতে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড লি: (খুশিলি)। কাজ শেষ হলে এটাই হবে বাংলাদেশে এ যাবৎকালে নির্মিত সবচেয়ে বেশি বোলার্ড পুল ক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিতব্য এই দুইটি টাগ বোটের কিল লেয়িং এর উদ্বোধন আজ (সোমবার) দুপুরে শিপইয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীনতার পরপরই নৌপথের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু এদেশে জাহাজ নির্মাণ শুরু করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে যাচ্ছে। তিনি দক্ষিণাঞ্চল তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে পায়রা বন্দর স্থাপন করেছেন। পায়রা বন্দরের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অচিরেই এটি দেশের আমদানী-রপ্তানির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে প্রচুর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। খুলনা শিপইয়ার্ডের জাহাজ নির্মাণের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ভবিষ্যতেও পায়রা বন্দর ও খুলনা শিপইয়ার্ড পারস্পরিক উন্নয়নে এক সাথে কাজ করবে।
খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম সামছুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার এন্ড মেরিন) কমডোর এম মামুনুর রশীদসহ শিপইয়ার্ডের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ টাগ বোট দুইটিতে অত্যাধুনিক মেশিনারী ও যন্ত্রপাতি সংযোজিত করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় ও বন্দরসমূহে যাতায়াত করতে সক্ষম। টাগ বোটসমূহ বন্দরে আগত যে কোন জাহাজের বাথির্ং/আন বার্থিং, টোউ, পুশ/পুল অপারেশন ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং, অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতার ইত্যাদি জরুরি কাজ সম্পাদনে ব্যবহৃত হবে। বোট দুইটি বন্দরের মাদার ভেসেল নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনাসহ বিভিন্ন অফশোর সাপোর্ট কার্যাবলী সম্পাদনে সক্ষম হবে, যা বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বন্দরে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি দেশে নির্মিত প্রথম ৭০টন বোলার্ড পুল টাগ বোট হিসেবে ইহা খুলিশি তথা দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। টাগ বোটদ্বয আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাস (ফ্রান্স) এর নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হবে।
.
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.