|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আপনিকি কি সাংবাদিক না কি ডাকাত? সওজ প্রকৌশলীর বক্তব্য-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ মে, ২০২২
মীরসরাইয়ে এক সাংবাদিককে ডাকাত বলে সম্বোধন করলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সড়ক উপবিভাগের (সওজ) উপ সহকারী প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন তালুকদার। বুধবার ১৮ এপ্রিল দুপুরে দৈনিক মানবকণ্ঠের মিরসরাই প্রতিনিধি এবং মিরসরাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাছির উদ্দিনকে তার ব্যাবহৃত মুঠোফোনে প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার সময় এমন মানহানিকর মন্তব্য করেন। সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের পূর্ব ভগবতিপুর এলাকায় সড়কের পাশে থাকা বন বিভাগের একটা মোটা ইউকালিপটাস গাছ সম্প্রতি ঝড়ের কবলে পড়ে উপরের অংশ ভেঙে যায়। সেই অংশটি দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত কয়েকজন গাছের অবশিষ্টাংশ করাত দিয়ে কেটে নেয়ার চেস্টা করে। এসময় সাংবাদিক নাছির ঐ সড়কদিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা দখে তাদেরকে গাছ কাটছে কেন যানতে চাইলে তারা পালিয়ে যায়। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের জনৈক ব্যক্তি অজ্ঞাত লোকদের গাছ কেটে নেয়ার কথা বলেছিলেন। বিষয়টি জানতে চেয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে ফোন করলে তিনি সওজের সীতাকুন্ড উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন। পরে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে লোক পাটাচ্ছি। এদিকে মঙ্গলালয় সন্ধায় দেখা যায় ঐ গাছটি কেটে কে বা কারা নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে প্রকৌশলী রোকন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপ সহকারী প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন তালুকদারকে পাঠানো হয়েছে। তার সাথে কথা বলার জন্য এবং তার মুঠোফোন নাম্বারও প্রদান করেন। এদিকে গাছের বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করা হয় প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিনকে এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে সে অপর প্রান্ত থেকে কতুব উদ্দিন জোর গলায় বলেন, আপনিকি সাংবাদিক না ডাকাত, আপনি কেন আমার কল রেকর্ড করছেন। আপনি আমার অনুমতি নিয়েছেন? এমন কথা শুনে সাংবাদিক নাছির ভদ্রভাবে বিষয়টি বলতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে সে সংযোগ কেটে দেয়। এবিষয়ে সাংবাদিক নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা তথ্য নেয়ার সময় তথ্যগুলো সংরক্ষণের জন্য সংবাদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাদের সাথে কথা বলা হয়, তাদের ভয়েস রেকর্ড করা হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য এটা একটা সাভাবিক প্রক্রিয়া। তার এই ঔদ্ধত্ত আচরনে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এবিষয়ে মিরসরাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের নের্তৃবৃন্দরা বলেন, এঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোন সাংবাদিকের সাথে এমন অশালীন আচরণ কোন ভাবেই কাম্যনয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রকৌশলীর এমন ঔদ্ধত্য আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, এধরণের আচরণতো সে করতে পারে না বিষয়টি আমি দেখছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.