|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ধর্মীয় উৎসবগুলো এখন আমাদের সংস্কৃতির অংশ বিশেষ-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ মে, ২০২২
দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো এখন আর নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এগুলো আমাদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ হয়ে গেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৌদ্ধদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ শনিবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ধ’র্মীয় উৎসবগুলোতে এখন এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। উৎসবগুলো আমাদের মাঝে শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা তৈরি করছে। এগুলো এখন আর ধ’র্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাকে হত্যার পর একটি গোষ্ঠী দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা নষ্ট করেছিল। তারা দেশের ভেতর সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ঢেলে দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পুনরায় দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ফিরিয়ে আনেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু মুক্তিযু’দ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, একইসঙ্গে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও মূর্ত প্রতীক। ক’দিন আগে এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন- সংস্কৃতিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানো উচিত নয়।
উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরবে মুসলিমরা উলুধ্বনি দেয়, সেটি তাদের সংস্কৃতির অংশ অথচ এ দেশে কোনো মুসলিম উলুধ্বনি দিলে একটি পক্ষ বলবে, এরা সবাই হিন্দু হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ, দুর্গাপূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ ধর্মীয় উৎসবগুলো এ দেশে সার্বজনীন আনন্দের। যে সাম্প্রদায়িক অ’পশক্তি এ সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, তাদের দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.