|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরকারী খাল উদ্ধার-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৯ মে, ২০২২
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরকারী দুটি খাল উদ্ধার করা হয়েছে।
৮ মে রোববার বিকেলে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী বাজারে সরকারী খালের উপরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সূচীপাড়া পূর্ব বাজার হতে দৈকামতা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া সরকারী খাল ভরাট করা মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন উভয় ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের হাঁড়িয়া গ্রামের ফজলুল আলমের পুত্র এবায়েদু হক (৪৬) আয়নাতলী বাজারে সরকারী খালের উপরে দোকান ঘর নির্মাণ করে। বিষয়টি এসিল্যান্ড অবহিত হলে দোকান ঘরটি নিজ দায়িত্বে তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এতে এবায়েদুল হক নির্দেশ অমান্য করলে ঘটনার দিন চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়েদ কবির বাহাদুরের সহায়তা নিয়ে বিতর্কিত ঘরটি উচ্ছেদ পূর্বক দোকান ঘরে থাকা মালামাল স্থানিয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের জিম্বায় রাখা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়েদ কবির বাহাদুর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মোশারফ হোসেন, বাজার কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ বাজারের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
অন্যদিকে সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের সূচীপাড়া বাজার থাকে দৈকামতা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া সরকারী খালটি রাতের অন্ধকারে ভরাট করেন, দৈকামতা গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র আবু জাহিদের ভাগিনা হাড়াইপাড়া গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের পুত্র লোকমান হোসেন (২৯)।
স্থানিয়রা জানায় , লোকমান হোসেন তার পেশীশক্তি ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানিয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা রাতের অন্ধকারে সরকারী খালটি জোরপূর্বক ভরাট করে দখল করে।
ঘটনার দিন বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন ওই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভরাটকৃত খালটি উদ্ধার পূর্বক ভরাটকৃত খালের মাটি নিলামে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করেন। স্থানিয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জনি নিলাম কার্য পরিচালনা করেন এবং দৈকামতা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র নুরুল আমিন সর্বোচ্চ নিলামে ১২ হাজার টাকায় উক্ত মাটি ক্রয় করেন।
উক্ত নিলামের টাকা আবু তাহের জনি তার নিজ দায়িত্বে সরকারী কোষাগারে জমা দিবেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন বলেন, সরকারী সম্পদের উপরে যদি কেউ জবরদখল করেন তাহলে সরকারের পক্ষে আমি তার উদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর। আমি সরকারের পক্ষে এখানে কাজ করতে এসেছি। আপনারা সরকারের জনগন। তাই সরকারী কাজের স্বার্থে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.