|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
চাঁদপুর বিষ্ণুপুরের ধনপদ্দিতে স্ত্রী হত্যাকান্ডে ঘাতক স্বামী আটক-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৯ মে, ২০২২
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের৬ নং ওয়ার্ড ধনপদ্দি গ্রামে গলাকেটে গৃহবধূ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পলাতক স্বামী নাছির উদ্দীনকে আটক করেছে পুুলিশ। এর আগে এই খুনের ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন হিসেবে নিহত গৃহবধূ রুপার শাশুড়ী ও ননদকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছিলো।৯ মে সোমবার রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানা ওসি আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।জানা যায়, নাছির উদ্দীন ও তার স্ত্রী রুপা বেগমের সাথে ভোর রাতে মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে জিদের বশে নাছির তার স্ত্রী রুপা বেগমকে ধারালো বটি দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে হত্যা নিশ্চিত হয়ে ভোর সে সকলের অজান্তে পালিয়ে ঢাকায় চলে গিয়েছিলো।পরবর্তীতে নিহত রুপার ছেলে সকালে ঘুম থেকে জেগে ঘরের দরজা খোলা এবং মায়ের গলা কাটা লাশ দেখে ডাক চিৎকার শুরু করে। পরে লোকজন ছুটে এসে রুপা হত্যাকান্ডের ঘটনা দেখতে পায়।এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করার সময়ে খুনী নাছিরের মা রহিমা বেগম ও শিল্পী আক্তারকে ঘটনার ক্লু উদঘাটনে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় নিয়ে আসে।এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনা উদঘাটনে এবং খুনীকে আটক করতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এতে খুনী নাছিরের মা ও বোনকে কৌশল অবলম্বন করে নাছিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করানো হয়। তখন পারিবারিক আলোচনা শেষে নাছির ঢাকা থেকে রফ রফ-৭ লঞ্চে উঠে চাঁদপুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এরপর চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছে নাছির তার মা বোনকে খোঁজ করলে সাদা পোশাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এস আই মকবুল ও এস আই শাহরিন নাছিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আসিফ মহীউদ্দিন বলেন, রুপা হত্যাকান্ডে তার স্বামী নাছির জড়িত ছিলো এবং সেই পারিবারিক কলোহে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.