|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
২৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স – দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২ মে, ২০২২
এবার ঈদে এসেছে ২৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স
টাঙ্গাইলের সখীপুরে গতবারের চেয়ে এবার ঈদে ৬ কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। স্বজনদের ঈদ উদ্যাপনের জন্য এবার ২৫ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন ৩ হাজার ৬২৬ জন প্রবাসী।
গত বছর রমজান মাসে করোনা পরিস্থিতি ছিল। এরপরও স্বজনদের ঈদের কেনাকাটা করতে প্রবাসীরা ১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন। এবার করোনার প্রাদুর্ভাব নেই। তাই এবার স্বজনদের ঈদ উদ্যাপন করতে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা বেড়েছে। ১১টি ব্যাংকের মধ্যে শুধু অগ্রণী ব্যাংকের সখীপুর বাজার শাখায় ১ হাজার ২৪০টি হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) ১২ কোটি ১০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এসেছে, যা বাকি ১০ ব্যাংকের অর্ধেক।
রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড সখীপুর শাখা। এ শাখায় এবারের রমজানে টাকা জমা হয়েছে ৫ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। তৃতীয় অবস্থানে সোনালী ব্যাংক সখীপুর শাখা। সোনালী ব্যাংকে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এসেছে। চতুর্থ অবস্থানে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। তাঁদের ২৩১টি অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন।
গড়গোবিন্দপুর গ্রামের জেসমিন আক্তারের স্বামী চার বছর ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। এবার তাঁর স্বামী ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাবে ঈদ করার জন্য ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। শ্বশুর, শাশুড়ি ও বাচ্চাদের জন্য নতুন জামাকাপড়, জুতা, শাড়ি ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে সখীপুর শহরের বিপণিবিতানে এসেছেন। জেসমিন বলেন, গত বুধবার তাঁরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বৃহস্পতিবার এসেছেন কেনাকাটা করতে।
গত রোজার ঈদের আগে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি টাকা এসেছে অগ্রণী ব্যাংক সখীপুর বাজার শাখায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সখীপুরের ১১টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের রেমিট্যান্স বিভাগে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনও ফারজানা আলম বলেন, ‘প্রবাসীরা অনেক পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করে নিজের জন্মভূমিতে পাঠাচ্ছেন। সেই রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অভিনন্দন ও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
টাঙ্গাইল শাড়িঘরের মালিক ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রবাসীদের স্ত্রীরা বেশি বেশি শাড়ি কিনছেন। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। প্রবাসীরা টাকা না পাঠালে তাঁদের বেচাকেনা হয়তো কমে যেত বলে তিনি জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.