|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
স্পেনের এক গ্রামের নাম বদলে ‘ইউক্রেইন’ রেখেছে স্থানীয়রা, কিছুদিন আগেও যে গ্রামের নাম ছিল ‘ফুয়েন্তস দ্য আন্দালুসিয়া’-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২ মে, ২০২২
দেশটির আন্দালুসিয়া ও সেভিল প্রদেশের রাজধানী সেভিল শহরের পূর্বে এই গ্রামটিতে সাত হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন। রুশ হামলার শিকার ইউক্রেইনের নাগরিকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এমন উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রা।
ইউক্রেইন থেকে গ্রামটির দূরত্ব চার হাজার কিলোমিটারের বেশি। গ্রামটিতে ঢোকার মুখে ফুয়েন্তেস দ্য আন্দালুসিয়ার জায়গা নিয়ে ‘ইউক্রেইন’ নামটি। এর পাশে আঁকা হয়েছে ইউক্রেইনের নীল-হলুদ রঙের পতাকা।
শুধু কি তাই, গ্রামের রাস্তাগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরের নামে। এই যেমন- কিয়েভ, ওদেসা এবং মারিউপোলের নামও দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমগুলোতে।
বলা হচ্ছে, ছোট্ট একটি গ্রামট ফুয়েন্তেস দ্য আন্দালুসিয়ারবাসিন্দারা ইউক্রেইনের শরণার্থীদের জন্য যা করেছেন তা অভাবনীয়। তারা ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ‘ইউক্রেইন’।
স্থানীয় বাসিন্দা ফ্রান্সিসকো মার্তিনেজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হলো সংঘাত সম্পর্ক সচেতনা বাড়ানো এবং সেইসঙ্গে যেই দেশগুলোতে যুদ্ধ চলছে তা জানানো। ইউক্রেইনের শরণার্থীদের জন্য এখানকার বাসিন্দারা মাত্র দুই দিনেই তিন হাজার পাঁচশ ইউরো তহবিল সংগ্রহ করেছে।”
মার্টিনেজ জানান, গ্রামবাসী নাম পরিবর্তন করার পাশাপাশি দুইদিনের মধ্যে সেখানে শরণার্থী শিবির খুলতে ৩ হাজার ৫০০ ইউরো তহবিল সংগ্রহ করেছেন। তারা শরণার্থী শিবির বা কোনো পরিবারের সঙ্গে ২৫ জনের বেশি বাসিন্দাকে আশ্রয় দিতে চান।
রাফায়েল ওসুনা (৬৮) নামে আরেক গ্রামবাসী বলেন, “আমি কোনো ইউক্রেইনিয় দম্পতিকে বাড়িতে জায়গা দিতে চাই। এ ধরনের কাজ করতে পেরে ফুয়েন্তেসের বাসিন্দারা গর্ব করেন। আমি বাড়িতে একা বাস করি। আমার বড় বাড়িতে কিছুদিনের জন্য ইউক্রেইনিয় পরিবারকে আশ্রয় দিতে চাই।”
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.