|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
স্বামী ও সতীন কর্তৃক ইফতারের সাথে বিষ মিশিয়ে ধর্মান্তরিত টিকটক সুন্দরী পিংকি রানীদে ওরফে ইসরাজ জাহানকে হত্যার চেস্টা,আদালতে হাজির-দৈনিক বাংলা অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৮ এপ্রিল, ২০২২
চট্টগ্রামে স্বামী ও সতীন কর্তৃক ইফতারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চট্টগ্রামের ধর্মান্তরিত টিকটক সুন্দরী পিংকি রানী দে ওরফে ইসরাজ জাহান তোহাকে, মরে গিয়েছে ভেবে নিয়ে যায় হাসপাতালে, কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তোহা,পালিয়ে যায় স্বামী।
ছবি-সংরক্ষিত
সাগরপাড়ে ঘুরতে যেয়ে ফজলুল করিমের সুমনের সাথে পরিচয় সুন্দরী পিংকির। সুন্দরী এই হিন্দু কন্যাকে টিকটকে টাকা উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে পিক ভিডিও করার ফাঁকে তুলে ফেলে অশ্লীল পিক ও ভিডিও, বাধ্য করে শারিরীক সম্পর্কে,
পরবর্তীতে অটো তোতা পাখি হয়ে যায় পিংকি। ভিডিও দেখিয়ে বাধ্য করা হয় বিয়ে করতে ফজলুল করিমকে, ধর্মান্তরিত হয়ে নাম রাখেন ইসরাজ জাহান তোহা, স্বামীর চাপে পরে পড়েন নামাজ, রাখেন রোজাও।
বিয়ের পর বের হয়ে আসতে শুরু করে টিকটকার সুমনের আসল রূপ।
জানা যায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হিন্দু মেয়েদের এভাবে জোর পুর্ব পরিকল্পনামতো মুসলিম হতে বাধ্য করে এটাই হলো প্রমান।
এবং নওমুসলিম তোহা ধীরে ধীরে জানতে পারেন তিনি আসলে সুমনের ৪র্থ স্ত্রী। চারটি স্ত্রী ছাড়া টিকটকার সুমনের সাথে আরো বেশ কয়েকজন নারীর বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ সব নিয়ে সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর থেকেই তোহার উপর দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায় ফজলুল করিম।’
অবশেষে একদিন পাঁচলাইশ থানার জঙ্গীশাহ্ মাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসাতে তুলে দিয়ে রাতেই পালিয়ে যায় ফজলুল করিম।
অনেক খুঁজাখুজির পর স্বামীকে পায় তোহা। ফিল্মি কায়দায় চলতে থাকে নির্যাতন।
অবশেষে ফজলুল ও তার ২য় স্ত্রী ইফতারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে।
পিংক দে মরে গিয়েছে ভেবে নিয়ে যায় হাসপাতালে, কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় হিন্দু মেয়ে পিংকি। পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী।
অসহায় পিংকি শেষ ভরষা হয় আদালত।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বায়েজিদ থানার ওসিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
পিংকি তার নিজ হিন্দু ধর্ম ফিরতে চান,পিংকি বলেন আমার সাথে দোকাবাজি করা হয়েছে বাংলাদেশ যত গুলো হিন্দু মেয়ে মুসলিম হয়েছে সকলের সাথে এরকমই করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
আজ আমি বুঝতে পারছি হিন্দু মেয়ে গুলোকে তাদের ফাঁদে ফেলেন ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে, বিয়ে করার পর আবার ছেড়ে দেন।
পিংকি বলেন মাননীয় আদালতে অভিযোগ করেছি আশা করছি আমি সু বিচার পাবো।
পিংকি আরও বলেন এটা কেমন দেশে আমার মতো একটি সহজ সরল মেয়েকে ভাই পরিচয় দিয়ে টিকটক এর নামে কিছু ভিডি ধারন করে, তাপরে আমাকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি হিন্দু মেয়ে ফজলুল করিমের সুমনের মতো ব্ল্যাকমেইল করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.