|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
জমে উঠেছে বিরামপুরের ঈদ মার্কেট–দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২২
জমে উঠেছে দিনাজপুরবিরামপুরের ঈদ মার্কেট। ছোট ছোট বিপণিবিতানগুলোতে নতুন ডিজাইনের বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নতুন পোশাকে ঈদ কাটবে, এমন প্রত্যাশায় দিনের গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতারা আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিরামপুর বাজারের এসক্লুসিভ ফ্যাশন, অনু টপস ফ্যাশন, জহুরা এন্ড ক্লথ স্টোর ও বেবি চয়েজ এন্ড গিফট কর্ণার সহ বিভিন্ন ছোট বড় দোকানে গিয়ে উপচে পড়া মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
জানা গেছে, ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রতিটি দোকানে নানান ডিজাইনের কাপড় সাজিয়ে এবং জুলিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। এসব দোকানে নারী ও তরুণীদের জন্য রঙ-বেরঙের থ্রি-পিস, শাড়ি, ওয়ান পিচ, ল্যাহাঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও লুঙ্গী। ছোটদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। এদিকে জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মতো।
প্রাণঘাতী করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ কিংবা ভাগাভাগি করতে পারেনি আপনজনদের সঙ্গে। শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই ঈদের কেনাকাটা করছে। নতুন পোশাকে ঈদগাহে যাবে মুসলিম, করবে এবার একে অপরকে আলিঙ্গন।
বিরামপুর বাজারে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা কয়েক জন ক্রেতা বলেন, বাড়ির জন্য মার্কেট করতে এসেছি। এবার ঈদটা অনেক ভাল এবং আনন্দের হবে। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছি। প্রায় দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় দেখা যাচ্ছে। পছন্দ মতো কেনা-কাটা করছি, তবে দামটা একটু বেশি।
কয়েকজন দোকান কর্মচারী বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে মহাজনরা তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাই আমরা ভাল ভাবে বেতন-ভাতা পাইনি। এবার করোনা নাই, দোকানে অনেক ক্রেতারা আসছে, বেচা-বিক্রিও বেশি, আশা করি ঈদও আমাদের ভাল হবে।
এক দোকান মালিক বলেন, করোনা কাটিয়ে একটু সুদিন ফিরে এসেছে। আর কয়েকদিন পর পবিত্র ইদুল ফিতর। বেচা-বিক্রি অনেকটায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অনেক পোশাক দোকানে তুলেছি। ক্রেতারা আসছে, বিক্রিও হচ্ছে। আশা করছি বাঁকি দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।
বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বলেন, ‘ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতোমধ্যে দোকানগুলোতে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, বলেন ‘ মার্কেটগুলোতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য সহ আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। আশা করি কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।’
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.