যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাহিরঘরিয়া গ্রামের উত্তম কুমার সরকারের স্ত্রী শান্তনা সরকারকে (৩৮) দিনের পর দিন কুপ্রস্তাব এবং নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো প্রতিবেশী মহিরউদ্দীন, কুপ্রস্তাব এবং উত্ত্যক্ত করার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে শান্তনা সরকার।
মৃত্যুর শিকার গৃহবধূর স্বামী উত্তম কুমার সরকার দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মাস দেড়েক আগে প্রতিবেশী মৃত জব্বার গাজীর ছেলে প্রভাবশালী মহিরউদ্দীন চালের কার্ড করে দেয়ার কথা বলে তার কাছে ভোটার আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নম্বর চান। তিনি নিজে মোবাইল ব্যবহার না করায় তার স্ত্রীর কাছ থেকে আইডি কার্ড নিতে বলেন।
এরপর মহির ভোটার আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নম্বর নেয়ার পর থেকে তার স্ত্রীর কাছে প্রায় ফোন করে কুপ্রস্তাবসহ নানা ধরনের অশ্লীল কথা বলে আসছিল। যা স্ত্রী তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখে। তার স্ত্রী এসব কথা তাকে জানালে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন ও বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারকে অবহিত করেন। তারা মহিরউদ্দীনকে সতর্ক করলেও সে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করা থেকে নিবৃত হয়নি।
এক পর্যায়ে তার স্ত্রী মান সম্মানের কথা চিন্তা করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সর্বশেষ শুক্রবার তার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে মহিরউদ্দীন ফের কুপ্রস্তাবসহ নানা ধরনের অশ্লীল কথা বলে। এক পর্যায় ওইদিন রাত ৮ টার দিকে শান্তনা সরকার মানসম্মানের ভয়ে কীটনাশক পান করেন।
তখন তাকে প্রথমে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১ টার দিকে তিনি মারা যান।
এবিষয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবী এই মহিউদ্দিনের বহু কু কৃতি রয়েছে এলাকায় তার বিচার চান এলাকা বাসি।