চাঁদপুর জেলায় মারাত্মক আকারে চড়িয়ে গেছে ডায়েরিয়া।জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় এটি প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলার প্রায় সকল সরকারি – বেসরকারি হাসপাতালে ডায়েরিয়ার রোগির উপচেপড়া ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উপজেলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম ডায়েরিয়া হাসপাতাল(মতলব আই.সি.ডি.ডি.আর.বি)ঘুরে দেখা যায় হাসপাতালটিতে হাটার মতো কোন পরিবেশ নেই।হাসপাতালের সক্ষমতার চেয়ে কমপক্ষে ১০ গুন রুগী ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালের নির্ধারিত বেডের পাশাপাশি হাসপাতালের মেঝেতে, বিভিন্ন গলিতে অসংখ্য রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় হঠাৎ করে ডায়েরিয়ার রোগীর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকগন দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার জন্য। তিনি বলেন দীর্ঘ প্রায় ২ সপ্তাহ যাবৎ আকষ্মিকভাবে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অত্যধিক গরম ও দেশ ব্যাপি রোটা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে হঠাৎ করে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রোজাদার ব্যক্তিগন সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারনেও এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন রোগীর স্বজন।
এছাড়াও শিশু ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন তারা তাদের বাচ্চাদের তরমুজ খাওয়ানোর কয়েকঘন্টা পর থেকে হঠাৎ তাদের গায়ে জ্বর চলে আসে এর কিছুক্ষন পর থেকে বাচ্চারা অনবরত পাতলা পায়খানা করতে থাকে।কারো কারো বাচ্চা প্রায় ৪-৫ দিন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।স্থান সংকুলানের কারনে চিকিৎসকগন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের বিদায় করে দিচ্ছেন।
মহামারী আকারে ডায়েরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটার পূর্বে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।