চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদ ইউনিয়নের মহমায়া পশ্চিম বাজার রাজার গাঁও রোড সংলগ্ন টাওয়ার খিল গ্রামে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বাড়ী ঘেঁষে অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন গরুর খামার গড়ে তুলে প্রতিবেশীদের দূর্ভোগে ফেলেছেন প্রভাবশাল হেলাল বেপারী।
তার গরুর খামারের গরুর মলমূত্রের গন্ধে প্রতিবেশীরা দূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।৫ এপ্রিল মঙ্গলবার এমন অভিযোগে দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুর মলমূত্রের দূর্গন্ধের সত্যতা পায় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের টিম।
আর তদন্তে ওই টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথেই সরকারি কর্মকর্তা জেনেও চরম দুর্ব্যবহার ও উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করে গুরুর খামারি প্রভাবশালী হেলাল বেপারী গং।
আর এই দূর্গন্ধে সবচেয়ে বেশি অতিষ্ট সুলতান হাজীর বাড়ীতে বসবাসকারীগণ কেন পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়ায় তাদের ওপরও চলছে মানসিক টর্চারিং।
সুলতান হাজী বাড়ীর ভাড়াটিয়া রুমা ও নাসরিন নামের দুই গৃহবধূ দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান রাস্তার পাশে বলে এই বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু এসে গরুর খামার থেকে আসা দূর্গন্ধে খুব যন্ত্রণায় আছি।
গরুর খামার এখান থেকে না সরালে হয়ত দ্রুত বাসা পরিবর্তন করে নিবো।সুলতান হাজীর বাড়ীর মোঃ হারুন রশীদ বলেন, আমাদের বাসায় এই গরুর খামার থেকে আসা গন্ধের কারনে কেউ উঠতে চায় না। আমরা আপত্তি করা সত্ত্বেও ওই হেলাল বেপারী গং জোড়পূর্বক এই গরুর খামারটি করেছে। আমি পরিবেশ অধিদপ্তরে বাদী হয়ে অভিযোগ দেওয়ায় আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে জানিয়েছে হেলাল বেপারীর ভাগিনা ফরহাদ।
আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তাই প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।ঘটনা প্রসঙ্গে হেলাল বেপারীর ভাগিনা আরাফাত বলেন, আমার মামা হউক আর যাই হউক। তিনি এই গরুর খামার দিয়ে মানুষের প্রতি অন্যায় করছেন। এটার একটা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরহাদ কে পাওয়া না গেলেও গরুর খামাড়ী হেলাল বেপারী পূর্বেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
খামারে গরু থাকলে গন্ধ ত হবেই। আমার জায়গায় আমি গরুর খামার করছি। এখানে কারো কোন অভিযোগে আমার কিছু যায় আসে না।এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রার্ণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন কে অবহিত করলে তিনি বলেন, দ্রুত আমরা মহামায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। এরপর সমস্যা সমাধানে আমাদের যা করনীয় প্রয়োজন মনে করবো সেটাই করা হবে।
এদিকে দুপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার কর্মকার দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মহামায়া এলাকায় তদন্তে গেলে ফরহাদ নামের জনৈক লোক আমাদের অবাদ তথ্য প্রাপ্তিতে বাঁধা দেওয়াসহ অশালীন এবং দুর্ব্যবহার করে। আমরা দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রশীদ কে অবগত করলে তিনি বলেন, ফরহাদ এবং হেলাল বেপারী গং যতশক্তিশালীই হউক তারা আইনের উর্দ্ধে নয়। সরকারি কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার এবং অভিযোগদাতাকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকলে তা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেউ অভিযোগ করলে মামলা গ্রহণ করা হবে।