|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিএনপির উদ্দেশ্যে ২৭ মার্চের অসৎ উদ্দেশ্য নাটক সাজাতে চায়-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ মার্চ, ২০২২
বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই উল্লেখ করে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, রাজনীতিবিহীন এই দলটির জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টে। সাম’রিক উর্দি পরা কিছু সাম’রিক কর্মক’র্তার ইন্দনে এবং জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক অ’পতৎপরতায় বিএনপি জন্মগ্রহণ করেছে।
বিএনপি জন্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, দলটির জন্মই আজন্মের পাপ। তাই মিথ্যাচার ও ইতিহাস বি’কৃ’তি তাদের একমাত্র অবলম্বন, যা ভ’য়ানক অ’প’রা’ধও।
রোববার (২৭ মা’র্চ) সকালে নগর আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালুরঘাটস্থ বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সমিশন সম্প্রচার কেন্দ্রের সামনে অনুষ্ঠিত ইতিহাস বি’কৃ’তকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ঘৃণ্য অ’পচেষ্টার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জিয়া জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করেননি। জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের সাতই মা’র্চ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন। ছাব্বিশে মা’র্চ স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান। এ ঘোষণাটি পাঠের পর তখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিরোধ যু’দ্ধরত কোনো সাম’রিক কর্মক’র্তার মাধ্যমে ঘোষণাটি পাঠ হলে জাতি উজ্জীবিত হবে, তাই প্রতিরোধ যু’দ্ধের রণাঙ্গন থেকে পলাতক মেজর জিয়াকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কালুরঘাটে নিয়ে আসেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাটি তার দ্বারা পাঠ করানো হয়। আসলে এটাই ছিল প্রতিরোধ যু’দ্ধের একটি রণ কৌশল। এটাই ইতিহাসের প্রকৃত সত্য।
যদি ধরে নেওয়া যায় জিয়াউর রহমান ২৭ মা’র্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাহলে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছাব্বিশে মা’র্চই রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল; ২৭ শে মা’র্চ তো স্বাধীনতা দিবস পালন করেনি। আজ কেন বিএনপি ২৭ শে মা’র্চ স্বাধীনতা দিবস পালনের নাট’ক সাজাতে চায়? বিএনপি জামায়াত এদেশকে ২১ বছর পা’কিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল। তারা আবারও এদেশেকে পা’কিস্তান বানানোর জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এদের মধ্যে মুক্তিযু’দ্ধের চেতনা নেই এমনকি বাঙালির প্রতি সামান্য মমত্ব ও দরদ নেই। তাই এদের নির্মূল না করা পর্যন্ত স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযু’দ্ধের চেতনা নিরাপদ নয় এবং বার বার আ’ঘাত আসবে।
তিনি ঘোষণা করেন যারা ইতিহাস বি’কৃ’ত করার সামান্যতম চেষ্টা চালাবে এদের মাঠে-ঘাটে-রাস্তায় এমনকি অলিতে-গলিতেও প্রতিহত করতে হবে। এই লক্ষ্যে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযু’দ্ধের সপক্ষে রাজনৈতিক শক্তি।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভা’রপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাতই মা’র্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার সবুজ সংকেত দিয়ে বলেছিলেন, আমি হুকুম দিবার নাও পারি তাহলেও যার যা কিছু আছে তা-ই দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমজনতা স্বাধীনতা যু’দ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছিল। এটাই হচ্ছে ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্যকে যারা বিশ্বা’স করে না তারা প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার শত্রু। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও এরা এখনো নির্মূল হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই আম’রা যদি হুকুম দিতে নাও পারি তাহলে যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ইতিহাস বি’কৃ’তকারী স্বাধীনতার শত্রুদের নির্মূল করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিরোধীদের দুঃসাহস সহ্যের সীমা অ’তিক্রম করেছে, তাই আজ তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তাদের বি’রু’দ্ধে আরেকটি যু’দ্ধের তাগিদ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় গণজমায়েতে বক্তব্য দেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা সফর আলী, সমাবেশে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম’দ, জে’লার ডেপুটি কমান্ডার গো’লাম সরওয়ার দুলু, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আহম’দ, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ই’স’লা’ম ফারুক, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইদা নার্গিস খান, ধ’র্ম সম্পাদক জহুর আহম’দ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নেছার।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.