|| ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সিরাজদীখানে মাদরাসা ভাংচুর, সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা, থানায় অভিযোগ!
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ মার্চ, ২০২২
সিরাজদীখানে মাদরাসা ভাংচুর, সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা, থানায় অভিযোগ!
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নিমতলা নুরানী কিন্ডার গার্টেন ও মহিলা মাদ্রাসার সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সোহরাব হোসেন ওরফে সোরান, উকিল উদ্দিন আলী ও কামরুলের বিরুদ্ধে।
গেলো বুধবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামে। এবিষয়ে রাতে সিরাজদীখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দী মৌজাস্থিত ৯১৯ নং খতিয়ানের সিএস ১০২০, এসএ ১০৫৫ ও আরএস ২১০৭ নং দাগের ৫ শতাংশ (বাড়ি) সম্পত্তি পৈতৃক ক্রয়সূত্রে মালিক হওয়ার পর দীর্ঘদিন দখলে থেকে ভোগ করে আসছেন চর নিমতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহ আলম মোল্লা। ওই সম্পত্তিতে তিনি নিমতলা নুরানী কিন্ডার গার্টেন ও মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে স্থানীয় ছেলে মেয়েদের দীনি শিক্ষা দিয়ে আসছেন। গত ২৩ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে মো. শাহ আলম মোল্লার ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে সোহরাব হোসেনসহ তার সাথে থাকা উকিল উদ্দিন আলী ও কামরুল লোকজন নিয়ে এসে নিমতলা নুরানী কিন্ডার গার্টেন ও মহিলা মাদ্রাসার গেট ভেঙ্গে সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে। সম্পত্তিতে রোপণ করা ১০ টি গাছ কেটে তাদের নিজেদের সম্পত্তি দাবী করে মাদ্রাসার ঘর ভেঙে সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে সম্পত্তির দখল নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে পারে এমন শঙ্কায় সিরাজদীখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মো.শাহ আলম মোল্লা।
ভুক্তভোগী মো. শাহ আলম মোল্লা বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এ সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জমি খালী করে দিতে তারা হুমকি দিয়ে গেছে। এ সম্পত্তির পূর্ববর্তী মালিকের কাছ থেকে তিনটি দাগে আমার পিতা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে থাকাবস্থায় মারা যান। পিতার ওয়ারিশ সূত্রে আমরা মালিক হওয়ার পর সম্পত্তির নামজারী করতে গিয়ে দেখি ভুলবসত তিনটি দাগ থেকে আরএস একটি দাগে তাদের নাম রেকর্ড হয়। রেকর্ড সংশোধন করার বিষয়টি জানতে পেরে ভুলবসত রেকর্ড হওয়া সম্পত্তি দখলের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরেই পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন ওরফে সোরান বলেন, জায়াটা আমার বাবা ক্রয়সূত্রে মালিক। বাবার ওয়ারিশ সূত্রে ৪ দাগে ১৭ শতাংশের মালিক হই। পরে তার কাছে আমরা ৫ শতাংশ বিক্রি করি। কিন্ত সে ১৭ শতাংশ পুরোটা তার দাবী করে ওই জায়গায় মাদ্রাসা বানিয়েছে। পাঁচ বছর আগে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের সাথে নিয়ে তাকে আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছি কিন্তু সে না ছেড়ে নিজের বলে দাবী করছে।
সিরাজদীখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন,
লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.