রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযু’দ্ধ যাদুঘরে ‘বাংলাদেশ জেনোসাইড ইন ১৯৭১’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহ’ত্যায় জড়িত পা’কিস্তানিদের কবর থেকে তুলে এনে শা’স্তির ব্যবস্থা করবে নতুন প্রজন্ম।
আজ শুক্রবার তিনি বলেন, ‘পা’কিস্তানের কমিশন বলেছিল তাদের শা’স্তি দেওয়ার জন্য। আমি আশা করব পা’কিস্তানের নতুন প্রজন্ম তারা বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবে। তারা গণহ’ত্যার অ’প’রা’ধ স্বীকার করবে। তাদের শা’স্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। কবর থেকে তুলে তাদের শা’স্তির ব্যবস্থা করবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে প্রায় তিন কোটি লোক বসতভিটা ছাড়া হয়েছিল। এর মধ্যে এক কোটি লোক ভা’রতে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। প্রায় ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে। কিন্তু যারা এই গণহ’ত্যা চালিয়েছে, তাদের কারো বিচার হয়নি। এটা দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এটা পৃথিবীর এমনকি পা’কিস্তানের জন্যও লজ্জাজনক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আম’রা চেষ্টা করছি ২৫ মা’র্চকে আন্তর্জাতিক গণহ’ত্যা দিবস হিসেবে পালনের। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, যেসব দেশে গণহ’ত্যা হয়েছে, তারাও তাদের দেশের গণহ’ত্যার জন্য আন্তর্জাতিক দিবস পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জাতিসংঘ একটা মধ্যপথ অবলম্বন করছে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযু’দ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর গ্রিগোরি স্টেনস্টোন, স্কলার ডা. হেলেন জারভিস। সেমিনার উপস্থাপন করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী।