সরকারের উন্নয়ন বিঘ্ন ঘটাতে একটি চক্র এখনো সক্রিয় ভুমিকায়। শাহাতলী রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে পাইকদি রাস্তা পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়মে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ! এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ! বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান!
চাঁদপুর পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশায় শুরু হয়েছে সড়ক সংস্কারের কাজ। তুলে ফেলা হচ্ছে সড়কে পূর্বে ব্যবহৃত পিচ ঢালাই। কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে যাওয়া সেখানেও মাটি ভরাট করে সড়কটি প্রসস্থ করতেও লক্ষ্য করা গেছে। নতুন করে সড়কটিকে সাজানোর জন্য কনক্রীট ঢেলে বালু ফেলে প্রস্তুত করা হচ্ছে জনসাধারণের জন্য। এতে করে পথচারী ও স্থানীয় জনগনের মধ্যে স্বস্তি কিছুটা লক্ষ্য করা গেলেও অস্বস্তি ও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সড়ক সংস্কারের কাজ কেনো এমন হচ্ছে? ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলে যাবে, আর আমরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করবো, সড়কটি যেভাবে সংস্কার করলে তার টেকসই হবে সেভাবে হচ্ছে না। এতে বর্ষা এলেই সড়ক তলিয়ে যেতে পারে। তাহলে জনগণের ট্যাক্স এর টাকায় নির্মিত সড়কের কাজ নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে তা মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা সড়ক সংস্কারের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জোর দাবি জানান।
এমন অভিযোগ উঠে এসেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার মাথা থেকে শাহতলী বাজার হয়ে পাইকদি রাস্তার মাথা পর্যন্ত (২ কিমি সড়কে)’র সংস্কারের কাজে।
নিন্মমানের ইট নিয়ে তৈরি হচ্ছে সড়কের গাইড ওয়াল। সড়ক সংস্কারে অনিয়ম ও নিন্মমানের ইট দিয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র স্থানীয়দের সাথে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয় ঠিকাদারের মনোনিত শফিকের সাথে। বিষয়টি জানাজানি হলে তদারকি প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে তদারকি করলে লুকিয়ে ফেলে পুরোনো পিচ ঢালাই। তদারকি প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে গেলে ফের পুরোনো পিচ ঢালাই এনে রাস্তায় ফেলতে থাকে। অন্যদিকে সড়করে পুরোনো পিচ ঢালাই উত্তোলনের কারনে ধূলাবালি উড়ে এবং পানি ব্যবহার না করায় ওই সড়কে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এ ব্যাবপারে ওই সড়ক সংস্কারের ঠিকাদার নাসিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাহতলী বাজার হতে পাইকদি রাস্তার শেষ মাথা পর্যন্ত এ সড়কে বালি ছাড়া কিছুই ধরা হয়নি ওয়ার্ড অর্ডারে। আমি রাস্তা মজবুত করতে কোনো কোনো জায়গায় পিচ ঢালায়ের রাবিশ গুলো ঢেলে দিচ্ছি। শুধুমাত্র শাহতলী বাজার থেকে মৈশাদি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার মাথা পর্যন্ত বালুর সাথে খোয়া ধরা হয়েছে। তাছাড়া সড়ক সংস্কারে কোনো অনিয়ম হয়নি।