|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদম ব্যবসা করে গাড়ি বাড়ির মালিক বাবুল হোসেন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৩ মার্চ, ২০২২
দীর্ঘদিন প্রতারণার মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদম ব্যবসা চালাচ্ছেন চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়নের বাবুল হোসেন। আর এতে করেই তিনি গাড়ি বাড়ি ও প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক বনে গেছেন। চান্দ্রা ইউনিয়নের বাংলাবাজারে ৩ তলা ফ্লাট বাসা ও পার্শ্ববর্তী বাখরপুরে রয়েছে তার নামে বেনামে আলাদা বাড়ি ও জমি। বখাটে ছেলেকে সম্পদ দেখাশোনায় কিনে দিয়েছেন দামী মোটর গাড়ি। বাবুল হোসেনের কৌশলী নানান প্রতারনা যেন রুপকথার গল্পকেও হার মানায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চারিত্রিক ভাবেও বাবুল হোসেন অত্যান্ত নিকৃষ্ট ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। একাধিক বিবাহ ছাড়াও নারীদের প্রতি তার কুনজরের খবর জানেন এলাকাবাসী। আর তার আদম ব্যবসা ও নামে বেনামের সম্পত্তি দেখা শুনা করে এলাকার কেশোর গ্যাং চক্রের মূল হোতা তার ছেলে বখাটে জিয়া উদ্দিন।
১২ মার্চ শনিবার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদে প্রতারক বাবুল হোসেন ও তার ছেলে জিয়া উদ্দিনের এসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন ভুক্তভোগী এক নারী (তার স্ত্রী দাবীকারী) শিউলি বেগম।
তিনি বাবুল হোসেন ও তার ছেলে জিয়া উদ্দিনের শাস্তি দাবী করে আরো বলেন, বাবুল হোসেন এর প্রথম স্ত্রী মোমিনা বেগম তাকে চাচাতো বোন পরিচয় দিয়ে ভুল বুজিয়ে বাবুল হোসেনের সাথে জোড়পূর্বক বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর ব্যবসার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বাবুল হোসেন হাতিয়ে নেন। টাকা নিয়ে সে দীর্ঘদিন যাবৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আর তার ছেলে জিয়া উদ্দীন নানাভাবে ফোনে আমাকে হুমকি ধমকিও দেয়। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে আদম ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন ও তার ছেলে জিয়া উদ্দিন কে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খানজাহান আলী কালু পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল হোসেন ও তার ছেলে জিয়া উদ্দিনের নামে অভিযোগ পেতে পেতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তিনি গোপনে আদম ব্যবসা করতো তা আমি জানতাম না। বাবুল হোসেন ও তার ছেলে জিয়া উদ্দীন মিলে বিদেশ পাঠানোর নামে বহু মানুষের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগের রয়েছে। এছাড়াও তার স্ত্রী মোমিনা স্বামীকে চাচাতো ভাই পরিচয় দেখিয়ে এক অসহায় নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করিয়ে সেখান থেকেও ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ার গুরুতর অভিযোগ পেয়েছি। আমি দেশের প্রচলিত আইনে প্রশাসনের নিকট তার শাস্তি কামনা করছি।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে গেলে জিয়া উদ্দীন নামের ওই যুবক বক্তব্য দিতে অস্বকৃতি জানায়। তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে জিয়া উদ্দীনের পিতা বাবুল হোসেন বলেন, আমি আদম ব্যবসা করতাম এটা সত্য। করোনার কারনে কয়েক জন বিদেশ যেতে পারেনি। তাদের থেকে যে টাকা নিয়েছি তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করে দিচ্ছি। প্রতারণার মাধ্যমে শিউলী বেগমকে বিয়ে করেছি তথ্যটি সঠিক নয়। উল্টো তাকে আমি ২ লক্ষ টাকা দিয়েছি। মানুষ ঠকিয়ে বাড়ী গাড়ী করাসহ অন্যান্য অভিযোগ তিনি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে জানিয়েছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.