|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
এবার পদ্মা অয়েলের এম ডি ও ডি জি এমের টাকার উৎস খুঁজতে বেপরোয়া দুদক-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৩ মার্চ, ২০২২
চট্টগ্রামভিত্তিক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একাধিক কর্মকর্তার ‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পদ্মা অয়েল ছাড়াও মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানিতে দুদকের পাঠানো চিঠিতে একাধিক কর্মকর্তার বিভিন্ন সন্দেহজনক কার্যক্রমের তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তথ্য চাওয়া হয় তিন কোম্পানির কাছেই।
পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান শুরুতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সর্বশেষ তিনি পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিন প্রতিষ্ঠানেই বিভিন্ন সময়ে কর্মরত থাকায় মাসুদুর রহমান সম্পর্কে দুদক তথ্য জানতে চেয়েছে তিন কোম্পানির কাছেই।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর কাছে দুদকের পাঠানো চিঠিতে মাসুদুর রহমান ছাড়াও উপ মহাব্যবস্থাপক (একাউন্টস) কাঞ্চন চন্দ্র সোমের দায়িত্বে থাকাকালে পদ্মা অয়েল কোম্পানির নামে কোন্ কোন্ ব্যাংকে এফডিআর হিসাব পরিচালনা করা হচ্ছে, এফডিআর খোলার তারিখ, সময়কাল এবং এফডিআর বাবদ শতকরা কত সুদ গ্রহণ করা হয়েছে— সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
উপ মহাব্যবস্থাপক (একাউন্টস) কাঞ্চন চন্দ্র সোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তার দায়িত্বে থাকাকালে বিভিন্ন ব্যাংকে কোম্পানির ফিক্সড ডিপোজিট রেখে তার বিনিময়ে বিপুল অংকের কমিশন খেয়েছেন তিনি। পদ্মার এমডি মাসুদুরের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতার সুবাদে কয়েক মাস আগে তিনি বাগিয়ে নেন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসারের (সিএফও) পদোন্নতিও।
এদিকে যমুনা অয়েলে পাঠানো দুদকের চিঠিতে মাসুদুর রহমান সেখানে এমডি থাকাকালে তেল আমদানি ও খালাস এবং অপারেশন কার্যক্রমের বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। যমুনায় থাকাকালে মাসুদুর বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত সাইদুল হক নামের এক কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে উপ-ব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি দেন— এমন অভিযোগও আছে। অথচ ওই সাইদুরের বিরুদ্ধে স্যালারি সার্টিফিকেট জালিয়াতি ছাড়াও চাঁদপুর ডিপোতে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.