ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৩ নং গড়েয়া ইউনিয়নের চকহলদি গ্রামের শবরদ আলী (৪০), পিতা, ইদ্রিস আলী (৬০) এক দিন মুজুরের বাসায় ১১ মার্চ শুক্র বার আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এসময় ৩টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে, স্থানীয়রা শত চেষ্টা করেও ঘরের কোনো আসবার পত্র ও প্রয়োজনীয় কিছুই বের করতে পারেনি। আগুনের সুত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, অগ্নিকান্ডের সময় স্থানীয় এলাকাবাসী প্রায় ৩০মিনিটে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় সব পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসে অবগত করলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর আগেই ৩টি ঘর পুড়ে যায়।
শবরদ আলী জানান, ভয়াবহ এ আগুনে পুড়ে ছাঁই। ফ্রীজ, টিভি, চাল,ডাল, আসবাবপত্র সহ দশ হাজার টাকা পুড়ে যায়। তারা বলে এ অগ্নিকান্ডে তাদের প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার বেশি মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সবরদ আলী আর জানান,আমি একজন দিনমজুর মানুষের জমিতে কাজ করি, আমার পরিবারের সদস্যেদের পড়নের কাপড় ছাড়া সব কিছুই পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। আমি এখন কোথায় থাকবো, কি করবো আমার তো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ধারনা করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাপ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি সবরদ আলী কে জানি সে একজন অসহায় গরীব লোক, মানুষের জমিতে কাজকরে তার সংসার চলে তার পরিবারে সেই একমাত্র উপার্জন কারি ব্যক্তি এই লোকটার কিছুই রইলো না, ঘরে যা ছিলো সব পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
এবিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রইছ উদ্দিন সাজু মাষ্টারের সাথে যোগা যোগ করা হলে তিনি বলেন, লোকটা খুব অসহায়, আমি তাকে চিনি , আমরা দেখি তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিব।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে বলেন একটি লিখিত দরখাস্ত দিতে, সরকারি ভাবে যতটুকু সাহায্য করা যায়, আমরা করবো।