|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বাংলাদেশে পানি সংকট নেই বলেই টিউলিপ ফুল উৎপাদন হচ্ছে -রমেশ চন্দ্র সেন
প্রকাশের তারিখঃ ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, বাংলাদেশে এমন কোন ফসল নেই যেটা উৎপাদন হয়না। বাংলাদেশে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। বাংলাদেশে এখন টিউলিপ ফুলও উৎপাদন হচ্ছে। কারণ একটাই এই দেশে পানি সংকট নেই। বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজে পানি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভার্চুয়াল ভাবে ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ির বাঁধ ও ভুল্লি সেচ প্রকল্প সমূহের পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এই প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৬ কোটি টাকা এবং এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে ৩৬টি প্যাকেজেটর মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করা হবে।
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, পানি হলো সম্পদ, সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো পানি। আফ্রিকায় যান যেখানে বৃষ্টিপাত হয়না। এমন কিছু দেশ রয়েছে সেখানে সারাবছর বৃষ্টিপাত নেই, পানি নেই। এজন্য সে অঞ্চলগুলোতে ফসল উৎপাদন হয়না। যেসব দেশে সমুদ্র আছে, সেখানকার মানুষজন সমুদ্রের পানি রিফাইন করে ফসল উৎপাদন করে। অন্য দেশের চেয়ে আমাদের বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এখানকার নদ-নদী ও সমুদ্রে পানি রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাতও হয়। এখানে সারাবছর পানি পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে বাংলাদেশকে পরিণত করার জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলা একসময় অনেক অসুবিধার মধ্যে ছিল। বিগত ১০ বছর, ৫ বছর আগে কি ছিল ঠাকুরগাঁও জেলা। আর এখন ঠাকুরগাঁও জেলা কি অবস্থায় রয়েছে তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও সদরকে আমি বলবো উন্নত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটা প্রকল্প দিয়েছেন। সেসব প্রকল্প আসলে ঠাকুরগাঁও শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। সেই সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থার যেসব জায়গা দখল হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা হবে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে কিভাবে সুন্দর ভাবে সাজানো যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ২৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্পটি কৃষি প্রকল্প। কৃষিজাত দ্রব্য সহজে যেন উৎপাদন হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে পানিউন্নয়ন বোর্ডকে কাজ করতে হবে। কোনভাবেই যেন এই প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে।
জনগণের উদ্দেশ্যে সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমাদের ভুলত্রæটিগুলো আপনারা তুলে ধরবেন। যাতে আমরা সঠিকভাবে সঠিক পথে চলতে পারি। বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা যেন তাই করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যত উন্নত, অন্যান্য উপজেলাগুলো তত উন্নত নয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে রূপান্তর করার জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্প আনা হয়েছে। আমরা সবাই একত্রে থেকে এই প্রকল্পটিকে কাজে লাগাবো এই আশা ব্যক্ত করছি।
ঠাকুরগাঁওয়েও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা, ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মুখলেসুর রহমান, ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবায়েত প্রমুখ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.