|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন চাঁদপুরের ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
প্রকাশের তারিখঃ ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন
চাঁদপুরের কৃতিসন্তান ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
এবারে শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। তিনি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
[caption id="attachment_60797" align="alignnone" width="225"]
শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন চাঁদপুরের ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ[/caption]
পরপর তিন বছর রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই সম্মান অর্জন করেছেন চাঁদপুরের গর্বিত ভূমিসন্তানরা। ২০২০ সালে অর্থনীতিতে বর্তমান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, চারুকলায় ড. ফরিদা জামান এবং ২০২১ সালে অণুজীব বিজ্ঞানে ড. সমীর কুমার সাহা একুশে পুরস্কার পান। এছাড়াও চাঁদপুরের অসংখ্য কৃতি সন্তান একুশে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ ১৯৬৩ সালের ১ জুলাই চাঁদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা স্বদেশ রঞ্জন দাশ, মা সাবিত্রি রানী দাশ। তিনি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোল্ট্রি নিউট্রিশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে হিউম্যান রিসোর্চ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং ২০১২ সালে পোল্ট্রি নিউট্রিশন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সিভাসুর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ : একুশে পদক’ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসরকারি সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিতায় দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরীককে ২০২২ সালে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন:
ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম. এ. মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় জিনাত বরকতউল্লাহ, নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ, মাহমুদুর রহমান রেণু, খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন, মাসুম আজিজ। মুক্তিযুদ্ধে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ .এ.বি এম রহমান, আমজাদ আলী খন্দকার। সাংবাদিকতায় এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবায় এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ। গবেষণায় ড. মো. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত, দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা (দলগত), ড.জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত)
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.