প্রতি লিটার পানির দাম এক পয়সা
সবকিছু যখন উর্ধ্বগতি, তখন হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিলেন পানির দাম পরিবার প্রথায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রথায় একক পরিবার খুশি হলেও বহু পরিবার বা বহু ফ্ল্যাটের মালিকদের জন্য পানির দামটা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পৌরসভার হিসেবনুযায়ী দৈনিক পৌরসভার ২৬’শ গ্রাহক যেই পানি পাচ্ছে তা প্রতি লিটারের দাম মাত্র এক পয়সা পড়ে।
রোববার হাজীগঞ্জ পৌরসভার মাসিক সাধারণ সভা শেষে এমন পরিসংখ্যান জানিয়েছেন পৌর সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব রশীদ।
তারআগে পৌরসভার মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তৃতায় পৌর মেয়র আসম মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, জানুয়ারীর ৩০ তারিখে পৌরবাসীর ভোট ও ভালোবাসায় পুনরায় জনপ্রতিনিধি হয়েছি। পৌরবাসীর উন্নয়নের নিরলসভাবে পরিষদের সবাই কাজ করে যাচ্ছে। সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আগামী দিনগুলো জনস্বার্থে নিয়োজিত থাকতে চাই।
পৌরসভা থেকে দেয়া এক পরিপত্রে বলা হয়, পানির বিল বৃদ্ধি নয়, একক পরিবার এবং একাধিক পরিবারের মধ্যে বিল সমন্বয় করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে চৌমুহনী পৌরসভা, লক্ষীপুর, চাঁদপুর পৌরসভা থেকেও পানির দাম হাজীগঞ্জ পৌরসভায় কম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সহকারী প্রকৌশলীর দেয়া তথ্যানুযায়ী হাজীগঞ্জ পৌরসভায় পানির গ্রাহক ২৬’শ। পাইপ লাইন ১’শ কিলো মিটার। বিদ্যুৎ বিল আগে আসতো ২ লাখ ৫০ হাজার আর এখন আসে সাত লাখ টাকা। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল অন্যান্য খাতে ৫ লাখ টাকা খরচ রয়েছে। পানি উৎপাদন আগে ৩০ লাখ লিটার হলেও এখন দৈনিক ৫০ লাখ লিটার পানি উৎপাদন হয়।
ভবিষৎত পরিকল্পনা নিয়ে সাধারণ সভায় বলা হয়েছে, মেঘনা নদী হতে পানি সংগ্রহ করে পরিশোধন পূর্বক গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। একটি সারফেস ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ওভার হেড ট্যাংক করা হবে। এছাড়া রান্ধুনীমুড়ায় গভীর উৎপাদন নলকূপ স্থাপন পূর্বক পানি সরবরাহ চালু করার কাজ চলমান রয়েছে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলামের পরিচালনায় মাসিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র জাহেদুল আজহার আলম বেপারী, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাঈনুদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহসীন ফারুক বাদল, কাউন্সিলর আলাউদ্দিন, সুমন তপদার ও সাদেকুজ্জামান মুন্সীসহ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।