|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মায়ের সাহস ও অনুপ্রেরনায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে পাওয়ার ভিশন গ্রুপ-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৮ জানুয়ারি, ২০২২
......মাহমুদা রহমান, পাওয়ার ভিশন গ্রুপের চেয়ারম্যান।
পাওয়ার ভিশন গ্রুপ এই কোম্পানী হাটি হাটি পা পা করে আজ উচ্চতার শিখরে। হেবি ইকুইপমেন্ট ব্যবসায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে পাওয়ার ভিশন গ্রুপ। এই কোম্পানীর আজ এই পর্যন্ত অবতরনের জন্য যারা ওনার দূর্দীনে পাশে ছিলেন। যারা মানসিক, আর্থিক, অনুপ্রেরণা, সাহস যোগিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন "মা"।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে পাওয়ার ভিশন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা রহমান বলেন, মায়ের অনুপ্রেরণা, সাহস, দোয়ার বরকতে এই কোম্পানি আজ এই অবস্থানে এসেছে। আমাদের কিছুর অভাব নেই, বাড়ী, গাড়ী টাকা পয়সা। এতো কিছুর মাঝেও নেই শুধু একটি শব্দ "মা"। গত বছরের ২৯ জানুয়ারী সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান ওনার মা জননী মরহুমা মাকসুদা বেগম। মায়ের বিদায়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে মায়ের অভাব অনুভব করতে শুরু করি। এই পৃথিবীতে এই উন্নত জীবন যাপনের মাঝেও মা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি, তা এখন অনুভব হচ্ছে মায়ের মৃত্যুর পর। বারবার নাড়া দেয় মায়ের সেই স্মৃতিগুলো। শৈবরের আদর, স্নেহ, শাসন। সন্ধ্যা বেলায় পড়তে বসা, বাবার বাসায় ফিরে আসার অপেক্ষায়। কারন, বাবা বাসায় আসলেই পড়ালেখা শেষ করে ঘুমাতে যাওয়া। এই স্মৃতিগুলো বারবার নাড়া দেয় অন্তরে। এই পৃথিবীতে সবকিছু থেকেও যেন শুন্য এই পৃথিবী। মা যে কতটা আপন, কতটা পূর্নতা, কতটা প্রয়োজন এখন অনুভুত হচ্ছে মাহমুদা রহমানের। শেষ কয়েকটি বছরে মা ভীষন অসুস্থ ছিলেন। ঠিকভাবে হাটাচলা করতে পারেন নি, ভালোভাবে কথা বলতে পারেন নি। তবুও নিজের একমাত্র মেয়ের প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিলো না। সবসময় নিজের একমাত্র মেয়ের খোঁজখবর নিয়েছেন, মেয়েকে সান্নিধ্যে পেলে নিজ হাত বুলিয়ে মেয়েকে আদর করতে ভুলেন নি। নিজ জীবনের শেষ বেলাতে এসেও সন্তানের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মাকসুদা বেগম।
তাইতো ওনার বিদায়ে ওনার সন্তানেরা আজ ওনার স্মৃতি খুজে বেড়াচ্ছে প্রতিটি স্মৃতিময় স্থানে। মাহমুদা রহমানের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার খিড্ডা গ্রামে। এই গ্রামেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তাঁর মা জননী। খিড্ডা গ্রামে রাস্তার পাশে নতুন বাড়িটি নির্মানের সময় মা জননী ঢাকা থেকে প্রতি সাপ্তাহে গ্রামে যেতেন বাড়ি নির্মানের খোঁজ খবরাখবর নেওয়ার জন্য। এই বাড়িটির প্রতিটি ধুলিকনায় জড়িয়ে আছে ওনার মায়ের স্মৃতি। তাইতো, মাহমুদা রহমান একটু সময় পেলেই ছুটে যান গ্রামের বাড়িতে মায়ের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি মায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি ঘুরে দেখতে। সেই বাড়ির প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে, প্রতিটি ধুলিকণায় জড়িয়ে আছে মা জননী স্মৃতি। সবুজে ঘেরা, গাছ, পাখি, উদ্ভিদ সবকিছুর মাঝে যেন,খুজে মায়ের আচঁলের ঘ্রান। এতো দ্রুত হঠাৎ করেই মা চলে যাবেন না ফেরার দেশে এটা কখনো ভাবেন নি মাহমুদা রহমান। ওনার বাবা মাওলানা রহমত উল্ল্যাহ সাহেব প্রখ্যাত আলেম। তিনি বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব এবং আগারগাঁও মাদ্রাসার মুহতামিম। মাকে হারিয়ে এখন বাবার মাঝে মায়ের স্মৃতি খুজে বেড়ান মাহমুদা রহমান। মাঝে মাঝে বাবাও শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকেন। এদিকে মাহমুদা রহমান তার বাবার জন্য সু-স্বাস্থ্য কামনা ও মায়ের জান্নাতময়ী জীবন কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.