|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
৫ম ধাপে ইউপি নির্বাচনকচুয়ায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৬ জানুয়ারি, ২০২২
পঞ্চম ধাপে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন গ্রহনে বিভিন্ন কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে টহল দেয়। এর আগে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্ধদ্ধিতায় নৌকার প্রার্থী আব্দুস ছালাম সদওদাগর বেসরকারি ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় এ ইউনিয়নে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের ভোট গ্রহন হয়। কচুয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৬জন, সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১শ ২০ ও সাধারণ সদস্য পদে ৫শ ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
সকাল ৮টা থেকে নারী- পুরুষ ভোটাররা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়। সকাল বেলায় পুরুষদের চাইতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপক লক্ষ করা গেছে। বেলা ১১টায় ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ ভোট কেন্দ্রে নৌকার কর্মীরা এসে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস এর কর্মী আরিফ হোসেন,শাহআলম ও জিসান নামের তিন কর্মীকে বেধম মারধর করে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। পরে প্রশাসন কিছু সময় ভোট কেন্দ্র বন্ধ রেখে পূনরায় ভোট চালু করে এবং বিকাল ৪টায় ভোট দেয়া শেষ হলেও ওই ইউনিয়নের আলীয়ারা,নন্দনপুর ও কাদিরখিলসহ ৩টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক ঘোষনা করা হয়নি বলে আব্দুস সামাদ আজাদ দাবি করেন । পরে রাত ৮টা ১০ মিনিটের সময় আনারস মার্কার প্রার্থী আব্দুস সামাদ আজাদ উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে প্রেস বিফ্রিং করেন। এসময় তিনি দাবি করে বলেন, আমার ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রে অধিক ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ নৌকার কর্মীরা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৪টার ফলাফল রাত ৮টা পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ফলাফল ঘোষনা করতে দেয়নি। তিনি বিষয়টি প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে ফলাফল ঘোষনা করে তাকে বিজয়ী করার দাবি করেন।
৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও আনারসের চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সাচার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) মনির হোসেন,পাথৈর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আলী আক্কাছ মোল্লা ,বিতারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) ইসহাক সিকদার,পালাখাল মডেল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) হাবিবুর রহমান মজুমদার, পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আব্দুস সামাদ আজাদ, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) এম আখতার হোসাইন,কচুয়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (চশমা) খন্দকার আরিফুজ্জামান,কাদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) নূরে-ই আলম রিহাত, কড়ইয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আব্দুস ছালাম সওদাগর(বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতা),গোহট উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) কবির হোসেন, গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আমির হোসেন ও আশ্রাফপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) রেজাউল মাওলা হেলাল এগিয়ে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.