গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার পাশে দুর্গন্ধময় পচা খাদ্যদ্রব্য প্রসেসিং করায় হক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কারখানাকে সিলগালা ও জরিমানা করা হয়। এর পরও কারখানাটি চলছে স্বদর্পে।
নাকে রুমাল দিয়ে ওই কারখানার পাশ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রমও।
হক এন্টারপ্রাইজ নামে কারখানাটিকে গত বছরের জুলাই মাসে পরিবেশ দূষণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রসেসিং করার দায়ে সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কারখানা ১৫ দিনের মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসকের নির্বাহী সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা রানী কর্মকারের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছিল।
জানা যায়, ১৫ দিনের মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য মহলের ছত্রছায়ায় প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে কারখানাটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানায় পচা, দুর্গন্ধ ময়লা-আবর্জনা নষ্ট মালামালের জন্য আশপাশের বসতবাড়ির ও ফ্যাক্টরির লোকজন বসবাসসহ সামনের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বারবার অভিযোগ করলেও কারখানার কর্ণধার মোজাম্মেল কর্ণপাত করে না। ফলে এলাকার লোকজন মশা, মাছির উপদ্রব, পঁচা দুর্গন্ধ ও জলাবন্ধতার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার সামনের প্রাইম স্যুয়েটার পোশাক কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, ওই কারখানার ময়লাপানি রাস্তায় গড়িয়ে আসার কারণে চলাচল করা যায় না। তা ছাড়া কাভার্ডভ্যানে মাল লোড-আনলোড করার কারণে রাস্তায় যান চলাচলে পথচারীদের বিঘ্ন ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানা মালিক মোজাম্মেল হক বলেন, আমার কারখানা কখনও সিলগালা হয়নি। এই বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
এ নিয়ে পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে।