|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রাতের আধারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও পরিমল কুমার সরকার- দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৪ জানুয়ারি, ২০২২
নতুন বছরের শুরুতেই শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। তীব্র শীতে অসহনীয় ভাবে জনজীবনে দূর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের মানুষ৷ হাড় কাঁপানো শীতে কম্বল পেয়ে খুশি নৈশ্যপ্রহরী মংলু মার্ডি। বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৈশ্যেপ্রহরীতে চাকুরীরত্ব আছেন তিনি।
অনেক কষ্টে তীব্র শীতে দায়িত্ব পালন করতে হয় তার। তবুও জীবিকার তাগিদে ও কর্ত্যবের খাতিরে হাড় কাঁপানো শীতে স্কুলের সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
(৩ জানুয়ারি) গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার পৌর শহরে অসচ্ছল, দুস্থ,শীতার্ত ও এতিমদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। সেখান থেকে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মংলু মার্ডি শীতবস্ত্র হিসেবে একটি কম্বল পান। তীব্র শীতে কম্বল পেয়ে খুশি নৈশপ্রহরী মংলু মার্ডি।
নৈশপ্রহরী শ্রী মংলু মার্ডি বলেন, বছরের শুরুটাই এমন শীত পুরো শরীর ঠান্ডা করে দেই। ভোর রাতে বৃষ্টির মত শীত পরে তখন খুব কষ্ট হয়৷ কিন্তু স্কুলের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে যেহেতু চাকুরি নিয়েছি কষ্ট হলেও থাকতে হবে। আজকে ইউএনও স্যার একটি কম্বল দিলেন, কম্বলটা অনেক মানসম্মত। অনেকটা শীত লাঘব হবে৷ আর রাতে কম্বলটা জড়ায় দিয়ে স্কুল পাহারা দেওয়া যাবে৷
বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, জেঁকে বসেছে শীত, এই শীতে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশী কষ্ট করেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ, শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ে তাঁদের কষ্টও। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে প্রায় প্রতিদিনই দিনে ও রাতে অসহায় ছিন্নমূল মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। আমাদের শীতবস্ত্রর কোনো অভাব নেই। যদি কারও শীতের কাপড় কম্বলের প্রয়োজন হয়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তাঁকে শীতবস্ত্র কম্বল দেওয়া হবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.