মৌলভীবাজার জেলার কূলউড়া উপজেলার ভাটেরা-বেড়কুড়ি হয়ে ভুকশিমইল রাস্তার পূনঃনির্মাণের জরুরী প্রয়োজন বলে দাবী জানিয়েছেন জেলার কূলাউড়া উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্দিদিন সংস্কার না করার জন্য রাস্তাটির চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কূলাউড়া উপজেলার স্থানীয় জনগণ।
মৌলভীবাজার জেলার কূলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা সাবেক জনপ্রতিনিধি, প্রাক্তন শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকার সমাজকর্মী আহমদ কবির রিপন জানিয়েছেন, রাস্তাটা আমি মেম্বার থাকা কালীন তৈরি করা হয়েছে। ২০০৩ইং হতে ২০১০ সাল পর্যন্ত। ২০০৪ সালে বেরকুড়ি ও পশ্চিম বেরকুড়ী গ্রামের অধিবাসীদের নিয়ে আমি একটি সমিতি গঠন করি।এই সমিতির নাম হাকালুকি ইসিএ ব্যবস্থাপনা বঃ সঃ সমিতি।হাঃ ইসিএ ব্যবস্থাপনা বঃ সঃ সমিতির রেঃ নং ৬২৫। ইহা সমবায়,অধিদপ্তরের অধিনে রেজিষ্টেশন করা হয়।তিনি আরো বলেন, আমরা রাস্তা নির্মানের পাশাপাশি রাস্তার উভয় পার্শে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে ছিলাম। এখন এই গাছ গুলো অনেক বড় হয়েছে,পথচারীদের ছায়া দেয়।রাস্তার উভয় পার্শের গাছ গুলো রাস্তা রক্ষার জন্য গার্ড ওয়ালের ভূমিকা রাখছে।গাছ গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে।রাস্তার উভয় পার্শে মাটি ভরাট করা হলে,পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হবে এবং গাছ গুলো দ্রুত বড় হবে।রাস্তার কাজ দ্রুতগতিতে সুসম্পন্ন করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় কূলাউড়া উপজেলার জনগণ । আহমদ কবির রিপন আরো জানান, বিগত ২০১০ সাল থেকে আমি স্বপরিবারে সিলেট শহরে অবস্থান করছি।মূলত ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার সুবিধার জন্য সিলেট এসেছি।তার পর থেকে এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য আর কোন বরাদ্দ আসেনি।চলতি অর্থ বছরের প্রথম দিকে রাস্তার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ আসলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের খাম খেয়ালিপনায় রাস্তাটির কাজ বিলম্বে শুরু হয়। রাস্তার কাজ চলমান আছে।টেকসই কাজের স্বার্থে এলাবাসীর নজরদারী থাকা আবশ্যক বলে তিনি জোর দাবী করেন। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মৌলভীবাজার-২ আসনের মাননীয় সাংসদ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগনের কাছে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে আহমদ কবির রিপন বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামি দুই/ তিন মাসের মধ্যে রাস্তাটির চলমান কাজ সুসম্পন্ন করা আবশ্যক।নতুবা পুনরায় বর্ষা শুরু হলে রাস্তার ক্ষতিসহ জন সাধারণের চলাচলে অনেক ভোগান্তীর স্বীকার হবেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। মূলত এ রাস্তাটি অত্র এলাকার তথা মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান, সাবেক সচিব ও হাই-কমিশনার এ,এইচ,মোফাজ্জল করিম সাহেবের একান্ত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়ে ছিল। এ রাস্তাটি তৈরি হওয়ার ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন।রাস্তার পার্শে বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা,মসজিদ,বসত বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্টান তৈরি হয়েছে। মূলত ভাটেরা থেকে বেরকুড়ি-ভূকশিমইল হয়ে কুলাউড়া সল্প সময়ে দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি তৈরি হওয়ার ফলে কৃষি,খামার,দেখাশুনা, ও হাকালুকি হাওড় পাড়ের মানুষের একে অন্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ ও সুগম হয়েছে বলে আহমদ কবির রিপন জানান । এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ হাওড় হাকালুকি। এই হাওড়ের ভিতরে কোন পরিবহন সহ প্রবেশ করার মতো এটাই একমাত্র রাস্তা। রাস্তা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। তাই সাধারন মানুষের চলাচলের দিক গুরুত্ব দিয়ে রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক। সুতরাং রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত গতিতে সুসম্পন্ন করা জরুরী আবশ্যক বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জোর দাবী জানাচ্ছেন । সাংবাদিক এস চাঙমা সত্যজিৎ ব্যুরো চীফ চট্টগ্রাম বিভাগ সম্মানীত সদস্য - নির্বাহী পরিষদ ইউনাইটেড জার্নালিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ।