|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মুরাদ হাসানের বক্তব্যের ৯৪টি ভিডিও লিংক সরানো হয়েছে-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
বৃহস্পতিবার বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সঙ্গে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এক মতবিনিময়ে নাসিম পারভেজ এ তথ্য বলেন। রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৯৪টি ভিডিও লিংক সরিয়েছে ফেসবুক। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাঠানো মুরাদ হাসানের ২৬৮টি লিংকের মধ্যে ১৭৪টি এখনো সরানো বাকি আছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মুরাদ হাসানের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে গত মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পরে বিটিআরসির ডিজিটাল নিরাপত্তা দলের সদস্যরা লিংকগুলো শনাক্ত করেন।
মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘ধর্ষণ শব্দ যে কনটেন্টগুলোতে (আধেয়) আছে, সেগুলো বিটিআরসি বলার আগেই ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে।’
এদিকে বিটিআরসির পাঠানো মুরাদের ১২০টি ইউটিউব কনটেন্টের মধ্যে দুটি সরানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ইউটিউব তাদের নীতিমালায় খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেখানে কনটেন্ট রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা আছে। রিপোর্ট করার পর তাদের দল কাজ করে। বিটিআরসির সঙ্গে ‘টিম বিল্ডিং’ আরও ভালো করতে ইউটিউব এখনো রাজি হচ্ছে না। তবে বিটিআরসি চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফেসবুক থেকে এখনো না সরানো মুরাদ হাসানের কনটেন্টগুলো সম্পর্কে মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ভিডিও কনটেন্টে অতিরিক্ত কিছু কথোপকথন থাকে। সেটা আলাদা করে দেখতে হয়। ২০২১ সালে থেকে ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কের খুব উন্নতি হয়েছে। এখন তিন মাস পরপর মিটিং হয় তাদের সঙ্গে।
চলতি বছর দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় সৃষ্ট ঘটনায় ফেসবুক একটি বিশেষ দল গঠন করেছিল, যাতে সে ঘটনার লিংক ছড়াতে না পারে। তখন বিটিআরসি, ফেসবুকের আলাদা দল কাজ করে।
বিটিআরসির আট সদস্যের ডিজিটাল নিরাপত্তা দল সম্পর্কে মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘রাষ্ট্র ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর, এমন উপাদান শনাক্ত করে রিপোর্ট করে দলটি। কিন্তু ব্যক্তিগত বা পারিবারিক পর্যায়ে ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো সমস্যা হলে বিটিআরসিতে অভিযোগ না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করতে হবে। বাহিনী যখন আমাদের কাছে আসবে, তখন বিটিআরসি ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করবে।’
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.