|| ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
বহিরাগত বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম, হাসপাতালে ভর্তি -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২১
গত শনিবার কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ সাকিব ও আরেক কলেজ ছাত্র, ছাত্রলীগ নেতার উপর মধ্যযুগিয় কায়দায় ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত কলেজ শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সাকিব (২২) বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিক অবস্থায় আছেন তার মাথায় এবং চোখের উপরসহ শরীদের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাড়-মাংস থেতলে দেয়া হয়েছিল।
আহত ইমতিয়াজ সাকিব দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানায়, আমি কচুয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ থেকে পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তৃর্ণ হয়েছি। এই সুবাদে আনন্দের সংবাদটি জানানোর জন্য আমার শিক্ষক- সহপাঠীদের সাথে দেখা করতে গত শনিবার শনিবার দুপুরে কলেজে যাই। পরে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় কলেজের মেইন গেটের পকেট গেটে কচুয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়রের ভাতিজা শাওন (২০) গেইটের সামনে তার বাহিনী নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো, সেই এই কলেজের ছাত্র নয় জেনেও আমি আমার বন্ধু কে নিয়ে গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় সে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বন্ধুকে কোন কারন ছাড়াই ধাক্কা দেয়।আমি তাকে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে সে আমার সাথে ঝগড়া শুরু করে।
এ বিষয়টি আমরা কলেজের উপাদক্ষ্য শাহাদাত স্যারকে জানালে আমাদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষক রুমে গিয়ে বসতে বললে স্যারে কথা মতো আমরা সেখানেই বসি।
এরপর হঠাৎ করেই মেয়রের ভাই খোকন মিয়া, তার ছেলে শাওন, মেয়রের ছেলে ফাহিম, ভাগিনা মাহিম এবং তাদের সহযোগী শাহাদাত, সাব্বির, জাকির, তানভীর, রাজু দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আতংকিত হামলা চালায়।
প্রায় ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে আমাদের মাথায় ও হাতে-পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
আমরা ডাক-চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি,এবং , আমরা মরে গেছি ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে চলে যায়।
পরে কয়েকজন ছাত্র আমাদের উদ্ধার করে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়।উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাঃ আমাদেরকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয় বর্তমানে আমরা একই হসপিটালে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
আহত ইমতিয়াজ সাকিবের পিতা কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান হাবীব প্রাঞ্জলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান যে- গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনে আমি মোবাইল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। এই কারণে মেয়র স্বপন ও তার লোকজন দফায় দফায় আমার পরিবারের উপর হামলা করছে। তারা আমার মেধাবী ছেলেটিকে কলেজের শিক্ষক রুমে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে। অপর আহত ছাত্র
আফজাল হোসেন মুন্সির পিতা আবু তালেব মুন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কান্না ভরা কণ্ঠে জানান- সন্ত্রাসীরা আমার মেধাবী ছেলেটিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমর ছেলেটা ঢাকা কলেজে ভর্তি পরিক্ষায় পাশ করেছে। ওরা আমরা ছেলেটাকে নির্মমভাবে মেরেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর আমজনতা এবং
উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ ডিপু মনি,কচুয়ার সাংসদ ডঃ মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডঃ সেলিম মাহমুদ এবং সর্বোপরি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.