|| ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
কচুয়ায় বজ্রপাতে নিহত মাসুমের তিন সন্তানের বাসস্থানের জন্য একটি সরকারি ঘর পেতে আকুতি মায়ের-দৈনিক বংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৪ নভেম্বর, ২০২১
২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাড়ির পূর্ব পাশে খলাগাঁও বিলে ফসলি মাঠে কাজ করতে গিয়ে আচমকা বজ্রপাতে নিহত হন কচুয়া উপজেলার চাংপুর গ্রামের তিন সন্তানের জনক মাসুম বিল্লাল। তার মৃত্যুর পর ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েন মাসুমের বাবা আবুল হোসেন বেপারী ও মা রাজিয়া বেগম। অবুঝ নাতি-নাতনীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি সরকারি ঘর পেতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হন ওই পরিবারটি। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর কচুয়ার সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র বরাবর একটি সরকারি ঘর চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন বজ্রপাতে নিহত মাসুম বিল্লালের মা রাজিয়া বেগম।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার বজ্রপাতে নিহত চাংপুর গ্রামের মাসুম বিল্লালের মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমি একজন হতভাগা মা। কম বয়সে আমার পুত্রকে বজ্রপাতে হারিয়েছি। বর্তমানে ছেলের অবর্তমানে তার ২ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছি। আমি অবুঝ এ শিশুদের ভবিষ্যতের বাসস্থানের জন্য একটি সরকারি ঘর দিতে জোর দাবি জানাই। নিহত মাসুম বিল্লালের ভাই রুবেল হোসেন বলেন, আমি ছোট একটা চাকরি করি। বর্তমানে আমার ও ভাইয়ের পরিবারের ভরন পোষনে হিমসিম খাচ্ছি। দুই ভাতিজা আরমান (১৩) ও সাফিন (১০)কে এতিমখানায় ভর্তি করা হয়েছে এবং ভাতিজি লামিয়া আক্তার (৭) আমাদের হেফাজতে আছে। তাদের ভবিষ্যত সমৃদ্ধির জন্য একটি সরকারি ঘর পেতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ইসহকা সিকদার বলেন, মাসুম বিল্লাল বজ্রপাতে নিহত হওয়ায় বিষয়টি দু:খজনক। তার রেখে যাওয়া অবুঝ ৩সন্তানের বাসস্থানের জন্য একটি ঘর বরাদ্দ পেতে যা যা প্রয়োজন তার সুপারিশ সহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
কচুয়া: কচুয়ায় বজ্রপাতে নিহত মাসুম বিল্লাল ও তার মা রাজিয়ার সাথে অবুঝ দুই সন্তান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.