|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বিতারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নৌকার মাঝি হতে চান জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু
প্রকাশের তারিখঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২১
কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান সাবেক যুব ও ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক এ ত্যাগী ও নির্যাতিত ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু ইতিমধ্যে ইউনিয়ন ব্যাপী প্রচার প্রচরাণা ও জোর তদবির লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে কি কি কাজ করবেন তারও নানান প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন জন সাধারনের কাছে। তিনি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করায় এবং ইউনিয়নবাসীর জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করায় পুরো ইউনিয়নব্যাপী তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু জানান, ১৩ নভেম্বর বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষে নামের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই বর্ধিত সভায় আমি একজন প্রার্থী হিসেবে আমার নামও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমার বিশ^াস ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা হিসেবে চেয়ারম্যান পদে আমি নৌকার প্রতীক পাবো। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ করার অপরাধে তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকারের আমলে আমার পরিবার বহু হামলার শিকার হয়ে নির্যাতন হয়েছি। আমার পরিবারটি কচুয়া উত্তর এলাকার আওয়ামী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে তৎকালীন জোট সরকার ও তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাংপুর-শিমুলতলী,উত্তর পালাখাল ও পালাখাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার উপর বারবার অমানবিক নির্যাতন চালায়। তার পরও বহু ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য নিবেদিত ভাবে কাজ করেছি। দল থেকে কী পেয়েছি সেটা বড় কথা নয়, দল ক্ষমতায় আছে এটাই বড় পাওয়া। টানা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দলের এখন সুদিন। দলে এখন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অভাব নেই। নির্যাতিত নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করলে আমি বিতারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পাব।
তিনি আরো জানান, কচুয়াকে একটি অবহেলিত অঞ্চল থেকে দেশের অন্যতম উপজেলায় রূপ দিয়েছেন জননেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। আমি তাঁর ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসেবে আমার ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে সকলের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে জীবনে কিছুই চাইনি। তাই আমি আমার জীবনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি স্বপ্নময় সুন্দর ইউনিয়ন গঠন করতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের সহযোগিতা চাই।
তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ৩নং বিতারা ইউনিয়নে নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের সাথে বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নিজের দীর্র্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমূক্ত ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.