|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আপনার সহযোগিতায় বাচঁতে পারে এক পা হারা পঙ্গু অসহায় বৃদ্ধ আব্দুল গনি-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৩ নভেম্বর, ২০২১
কচুয়া উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বৃদ্ধ আব্দুল গনি মোল্লা ৬মাস আগেও সাধারন মানুষের মতো তিনি স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা ও জীবন যাপন করতেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পিপড়ায় কামড় দেয় বৃদ্ধ আব্দুল গনি মোল্লা (৭২) এর ডান পায়ে। পরবর্তীতে তার পরিবার স্থানীয় ভাবে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকায় বেশকিছু স্থানে চিকিৎসা করান। এতেও কোনো সুফল হয়নি তার। অবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শে আব্দুল গনি মোল্লার ডান পায়ের হাটু কেটে ফেলেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
ধার দেনা ও সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় দেড় থেকে ২লক্ষ টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা শেষে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পাঞ্জা লড়ছে এ বৃদ্ধার। অর্থের অভাবে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার অসহায় পরিবার। বর্তমানে এক পা কাটা অবস্থায় আব্দুল গনি নিজ বাড়িতে ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে হাউ মাউ করে কাদছেন। তার কান্নায় আশে পাশের লোকজন ছুটে আসেন। তিনি সকলের সহযোগিতায় নিয়ে বাঁচতে চায়।
বৃদ্ধ আব্দুল গনি মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা বলেন, আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। বর্তমানে আমার বাবার জমিজমা ও অর্থ না থাকায় শেষ সম্বল দিয়ে বাবাকে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু বর্তমানে অর্থ না থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন। তাই এলাকাবাসী ও দেশ-বিদেশের সকল ভাই বোনদের সহযোগিতা চাই।
স্থানীয় অধিবাসী নজরুল ইসলাম,মনু মোল্লা, আব্দুল মালেকসহ আরো অনেকে জানান, আব্দুল গনি মোল্লা সহায় সম্বলহীন একজন নিরীহ মানুষ। তারা বলেন, বৃদ্ধ আব্দুল গনির পায়ে পিপড়া কামড় দেয়ার ঘটনার উচিলায় আজ তার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। তিনি বর্তমানে পা কেটে ফেলায় খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছে। তাকে বাচাঁতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। একজন পা হারা অসহায় পঙ্গু ব্যক্তি আব্দুল গনিকে বাচাঁতে স্বেচ্ছায় কেউ এগিয়ে আসতে চাইলে তার ছেলে শাহজাহান মোল্লার ০১৭০৬২৪৭৫২৯ বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কচুয়া: কচুয়ার মাঝিগাছা গ্রামে নিজ গৃহে শুয়ে থাকা পঙ্গু বৃদ্ধ আব্দুল গনি। ইনসেটে ফাইল ছবি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.