|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফরিদগঞ্জের ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি গ্রামে কর্মকার বাড়িতে আগুন-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ অক্টোবর, ২০২১
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি গ্রামে কর্মকার বাড়িতে আগুন।
এতে বাড়ির পরিত্যক্ত দু’টি ঘর পূড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে গুপ্টি বাজারের উত্তর পাশে পূর্ব কর্মকার বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষতিগ্রস্ত বীরেশ্বর কর্মকার দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন- আমার ১টি চৌচালা বসতঘর ও রান্নাঘর আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তবে সে ঘরে কেউই বসবাস করতোনা।
এবিষয়ে খোকন কর্মকার জানান আমরা সবাই চাঁদপুর শহরে থাকি। তবে রাত আড়াইটার দিকে আমাদের বীরেশ্বর কর্মকারের পরিত্যক্ত একটি বসত ঘরে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জানিনা তবে কুমিল্লার ঘটনা কে কেন্দ্র করে কউ এ ঘঠনা ঘটাতে পারে।
তবে আমরা আশেপাশের সবাই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে পরে সবাই মিলে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি।
জানাযায় খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ছুটে আসেন।’
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনাটি কে বা কারা করেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
গত বুধবার সকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পূর্ব গুপটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি পাটোয়ারী বলেন ‘ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। আশেপাশে হিন্দু ও মুসলমানের আরও ঘর ছিল। সেগুলো ঠিক আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি ছাড়াও চাঁদপুর থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে যান।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে আমরা ছুটে এসেছি। অগ্নিকান্ডের এই ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। আমরা এর রহস্য উন্মোচনে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাটি পরিদর্শন করতে আসেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি শিবু চন্দ্র দাস ও তার টিম।
তিনি জানান এই আগুন জ্বালিয়ে কি লাভ হবে দেশের ক্ষতি ছাড়া কিছুই না, তিনি আরও জানান আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছেন, কউ আপরাধ করে পার পাবেন না, এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এস ডি স্বপন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই গুপ্টির ওই বাড়ীর ১০টি হিন্দু পরিবারের মাঝে আতঙ্ক ও হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.