|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বাংলাদেশে দূর্গা প্রতিমা মন্ডপ ভাঙচুরের প্রতিবাদ হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ ও কাটলিছড়ায়-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ অক্টোবর, ২০২১
সোমবার সকাল ১০টায় হাইলাকান্দি জেলায় প্রায় তিন হাজারেরও অধিক লোকের একটি বিশাল রেলী হাইলাকান্দির আদি কালীবাড়ি থেকে শুরু করে নেতাজি পয়েন্টে এসে জমায়েত হয়। এরপর বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরংদল, হিন্দ জাগণর মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রতিবাদকারী পদাধিকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দূর্গা প্রতিমাকে ভাঙ্গায় এবং হিন্দুদের উপর অমানবিক নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে চরম হুশিয়ারি দিয়ে অতিসও্বর এই কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত মৌলবাদী জেহাদীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ডানানো হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য দ্রব্যের বর্জন করার ডাক দেওয়া হয় ও বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। উক্ত প্রতিবাদী কর্মসূচিতে প্রতিবাদকারীরা হাতে প্লে কার্ড নিয়ে এবং কালো বেইজ পরিধান করে রেলীতে অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অমানবাক নির্যাতন বন্ধ
করতে হবে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার মুর্দাবাদ মৌলবাদী জেহাদীরা হুশিয়ার ইত্যাদি স্লোগানে একসময় হাইলাকান্দি শহর উত্তাল হয়ে ওঠে। পরে প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে হাইলাকান্দি চক্র আধিকারিক ডেভিড বরার মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। উক্ত প্রতিবাদী রেলীতে অংশগ্রহন করেন বিজেপি নেত্রী মনু স্বর্ণকার, মিলন দাস,প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সঞ্জয় রায়, বজরং দলের দক্ষিণ প্রান্ত সুরক্ষা প্রমুখ বিক্রমজিৎ ভট্টাচার্য, জেলা সংযোজক জিৎ চক্রবর্তী,প্রান্ত সংযোজক বিষ্ণু ভট্টাচার্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সম্পাদক শ্যমসুন্দর রবিদাস,কার্যনিবার্হী সদস্য সানি দেব, ধর্মপ্রসার প্রমুখ মনোজ কান্তি দাস, মাটিছুরি পাইকান জিপির সভাপতি রাজেশ চন্দ্র রায় প্রমূখ। অপরদিকে একই দিনে সকাল ১১টায় শ্রীভূমি জেলা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে করিমগঞ্জ শহরের এওসি পয়েন্ট থেকে এক বিশাল প্রতিবাদী রেলী বের করা হয়। এতে কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিবাদে সামাল হন। শান্তিপূর্ন প্রতিবাদী রেলীতে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সেই দেশের মৌলবাদী জিহাদিদের বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ ধ্বনি সহ বিভিন্ন স্লোগানে সীমান্ত শহর করিমগঞ্জের রাজপথ সরগরম করে তুলেন। তারা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে কঁড়া ভাষায় হুশিয়ারি দিতে গিয়ে স্লোগানের মাধ্যমে এই অমানবিক ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।অন্যথায় হিন্দুরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরো বৃহত্তম আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। এইদিন প্রতিবাদকারীরা এওসি পয়েন্ট থেকে রেলি আরম্ভ করে স্টেশন রোড ব্রীজরোড, কালিবাড়ী রোড পরিক্রমা করে বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বাংলাদেশকে কড়া হুশিয়ারি দিয়ে তাদের রেলির সমাপ্তি ঘোষনা করেন। এবং তারা ভারতের সর্বস্তরের জনসাধারণকে বাংলাদেশী আমদানি রফতানি ও বন্ধ করার জোড়ালো দাবি জানান। এদিনের শান্তিপূর্ন এই প্রতিবাদি কার্যসূচীতে অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে অংশগ্রহন করেন রাষ্ট্রীয় বজরং দল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ,ও ভারতীয় জনতা পার্টির করিমগঞ্জের কর্মকর্তারা। অপরদিকে কাটলিছড়ায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ বজরং দল সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা স্থানীয় গৌড়ীয় মঠ থেকে শুভারম্ভ করে কাটলিছড়া বাজারের বিভিন্ন পথ পথ প্রদক্ষিণ করেন। তাঁরা বাংলাদেশের ঘটনায় ভারত সরকারকে কঠোর অবস্থান গ্রহনের দাবি জানান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশী পন্য সামগ্রী বর্জনের জন্য বজরং দল সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতীয়দের অনুরোধ জানানো হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.