গত শুক্রবার ৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পৌরসভাধীন বলাখাল জে এন স্কুল এন্ড কারিগরি কলেজ মাঠ থেকে স্টল ও বিভিন্ন রাইডসহ অন্যান্য উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মেলা আয়োজন জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের মজুমদারের |বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন| এর কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন, হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব হোসেন সবুজ। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে গত ৩ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেন অধ্যক্ষ, কিন্তু মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় এবং কঠোর লকাডউনের কারণে মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর মধ্যে মাঠ ব্যবহারের সময়সীমা পার হয়েও আরো প্রায় চার মাস অতিক্রম হয়। অর্থাৎ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পর ৭ মাস পার হলে মাঠ থেকে স্টল উপসারণ করা হয়নি।
এই নিয়ে অভিযোগ উঠে আসে যার ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় ও এলাকার শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত এবং রাতের আঁধারে মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয় বিদ্যালয়ের মাঠটি। এছাড়াও মেলার স্টল ও বিভিন্ন উপকরণ অরক্ষিত থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে স্থানীয়রা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে ক্ষুব্ধ ছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ স্থানীয় ও কিছু সংখ্যক এলাকাবাসী।
পরবর্তীতে মাঠ খালী করতে মেলা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ, কিন্তু তারা সেটি না করায় গত ২৪ আগস্ট লিখিতভাবে প্রথম নোটিশ দেয়া হয়। তারা নোটিশ হাতে পেয়ে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে মাঠ খালি করার কথা জানায়। কিন্তু যথাসময়ে মাঠ খালি না করায় ১ অক্টোবর দ্বিতীয় নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানার পর গত ৩ ও ৪ অক্টোবর জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান এই মেলার জন্য সকলেই উদ্বুদ্ধ ছিল কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে যথাসময়ে মেলা উদ্বোধন না হওয়ায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ ছিল এবং মেলা কর্তৃপক্ষ অনেক ব্যয়বহুল খরচ হয়েছে বলে জানান।