|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফলোআপ মেহেদীর রং শুকানোর আগেই নববধূকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা -দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ৬ অক্টোবর, ২০২১
খুলনার পাইকগাছায় নব বধু মাস্টার্স পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রী তানিয়ার হাতের মেহেদীর রং না মুছতেই বিয়ের ৫ দিন পর স্বামীর বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মার্দ্রাসা শিক্ষক স্বামী সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলা জামায়েতের সাবেক আমীর মার্দ্রাসা অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
থানার মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে ,গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার গড়ইখালীর ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল ইসলাম এর মেয়ে খুলনা আযমখান কমার্স কলেজের ম্যানেজমেন্ট মাস্টার্স এর শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী তানিয়ার সাথে মটবাটির জিল্লুর রহমানের ছেলে সাইফুলের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। সাইফুল ইসলাম গদাইপুরের মটবাটি দাখিল মার্দ্রাসার শিক্ষক। মেয়ের পরিবারের দাবী এ বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু দেখভাল করেন মার্দ্রাসার অধ্যক্ষ জামায়েত ইসলামীর সাবেক আমীর মওঃ আমিনুল ইসলাম।
তানিয়ার পারিবারিক সুত্র জনান, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে হাতের, কানের ও গলার হার সহ ৫ ভরি সোনার গহনা ও জামাই এর মটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য নগদ ১ লাখ ২০ টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠে বিয়ের পর পরই জামাই সাইফুলের পরিবার পালসার মটর সাইকেলের অতিরিক্ত টাকা দাবী করে বিয়ের অন্যান্য উপঢৌকনের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যার ফলে অশান্তি থেকে তানিয়া শ্বশুর বাড়ীতে এক পর্যায়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পাগল গালি দিয়ে তানিয়ার গায়ের সব গহনা খুলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় তানিয়ার ফুফা পৌর সদরের বাসিন্দা এসএম ইয়াসির আরাফাত আক্কাস বাদী হয়ে তানিয়ার স্বামী ইয়াসিন ইসলাম, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ অক্টোবর থানায় ১১(গ) ৩,২০০০ সালের নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন, যার নং- ৪। আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহতের কথা বলে ওসি মোঃ এজাজ শফী বলেন, ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.