|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কচুয়ার মধ্য সাদিপুরা সপ্রাবি জরাজীর্ণ ভবনে প্রানহানির আশঙ্কা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৪৩নং মধ্য সাধিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ,শ্রেনী কক্ষের অভাব ও মাঠে জলাবদ্ধতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরের একাডেমিক ভবন নির্মানের পর নতুন করে সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষকরা পাঠদান করে আসছে। বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আজো পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়নি। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে গাদাগাদি করে কখনো কখনো বাহিরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। করোনার কারনে দীর্ঘ দেড় বছরের অধিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে আমরা ক্লাস শুরি করি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৮৭জন শিক্ষার্থী থাকলেও শ্রেনী কক্ষ ও আসবাবপত্রের অভাবে দারুন কষ্টের মধ্যে রয়েছি। বিদ্যালয়টি অধিক ঝুকিঁপূর্ন হলেও এখনো উপজেলা প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষনা করেনি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বিএসসি জানান, আমি গত বছরের নভেম্বর মাসে বিদ্যালয়ে যোগদান করি। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর স্কুল বন্ধ থাকায় এ কয়েকদিন স্কুলে এসে বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে আমিও খুবই বিস্মিত হয়েছি।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন মুন্সী ও একাধিক অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়টি ঝুকিঁপূর্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাই না। শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে আসলেও কখন যে দূর্ঘটনা ঘটে এ আশঙ্কায় থাকি। এছাড়া বৃষ্টি থাকলে বিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার কোনো পরিবেশ থাকে না। বর্তমানে অতিবৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যালয় উত্তরের মাঠ ও শ্রেনী কক্ষ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বিদ্যালয়টি ফাটল সমস্যা,আসবাবপত্রের অভাব,আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল,খেলার মাঠ ও শ্রেনী কক্ষের অভাবে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। সম্প্রতি স্থানীয়দের উদ্যোগে টিনের দুটি ঘর নির্মাণ করা হলেও অতিবৃষ্টির কারনে মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় ওই শ্রেনী কক্ষ পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই বিদ্যালয়টির সকল সমস্যা সমাধানকল্পে নতুন একাডেকি ভবন নির্মানের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি,এম.এ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. মেজবাহ উদ্দিন মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন ঝুকিপূর্ন হওয়ায় নতুন ভবন নির্মান এখন সময়ের দাবি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এইচএম শাহরিয়ার রসুল বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ন তলিকায় রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবন নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত হবে।
কচুয়া: কচুয়ার মধ্য সাদিপুরা সপ্রাবি’র জরাজীর্ণ ভবন। নতুন করে শ্রেনী কক্ষে পাঠাদানে ব্যবস্থা করা হলেও জলাবদ্ধতায় করা হচ্ছে না।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.