চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার গ্রামে জোরপূর্বক সরকারি রাস্তায় বেড়া দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । সাচার গ্রামের দক্ষিন হাজী বাড়ির আব্দুল জলিলের ছেলে জয়নাল আবদীন,মনির উল্যাহ ও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
স্থানীয় ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাচার গ্রামের আব্দুল জলিলের তিন ছেলে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক দাবি করে অন্যায় ভাবে প্রভাব খাটিয়ে একটি পুরানো শতবর্ষী সরকারি রাস্তায় বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। এতে যানচলাচল ও ওই গ্রামের অন্তত ৫বাড়ির মানুষের চলাচলের খুবই বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত ওই রাস্তার বেড়া উঠিয়ে আগের মতো চলাচলের সুযোগ করে দিতে প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। সাচার গুপিরদিঘীর পাড় গ্রামের মৃত মুনাফ মিয়ার ছেলে সামি ও ছলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি প্রায় ১শত বছর আগে নির্মান করা হয়। হঠাৎ মনির উল্যাহ গংরা রাস্তার দক্ষিনাংশে জমি ক্রয় করে রাস্তার উত্তর সীমানা সহ পুরো রাস্তায় বেড়া দেয়। আমাদের অংশে আগে ডোবা ছিল। আমরা ডোবা ভরাট করায় মনির উল্যাহ গংদের ওই জায়গায় লেলুপ দৃষ্টি পড়ে। মূলত প্রায় ৬ মাস আগেও মনির উল্যাহ গংরা ওই রাস্তায় বেড়া দিয়ে গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা মতে বেড়া তুলে নেন। কিন্তু পূনরায় আবারো সরকারি রাস্তায বেড়া দিয়ে গ্রামবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে।
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল জলিলের ছেলে মনির উল্যাহ বলেন, আমরা ১২ শতাংশ ভূমি ক্রয় করি। তবে আমাদের ১২ শতক জায়গা কম থাকায় রাস্তার উত্তর অংশে আমাদের সীমানা পড়ায় রাস্তায় বেড়া দিয়েছি। আমাদের ক্রয়কৃত জায়গার উপর একক ভাবে সরকারি রাস্তা নিয়েছে। উত্তর অংশে মুনাফ মিয়ার ছেলে ছলিম গংরা খাস জায়গা দখল করে আছে। যেকোনো সময় সরকার চাইলে আমরা জায়গা ছেড়ে দিব।
কচুয়া: কচুয়ার সাচার হাজীবাড়িতে সরকারি রাস্তায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা