|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
তিস্তা নদীর গর্ভে বিলীন ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ আগস্ট, ২০২১
তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বিলীনের হুমকিতে পড়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার বসতবাড়ি,গতিয়াশাম, বগুড়া পাড়া, নাকেন্দা, খিতাবখাঁ, নদীভাঙ্গনে শত শত পরিবার হয়ে পড়েছে ভূমিহীন। বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি। উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের এই গ্রামে প্রায় ৪৪৮৪০ চুয়াল্লিশ হাজার আটশত চল্লিশ লোকের বসবাস। রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ।
স্থানীয়রা জানান, তীব্র ভাঙ্গনে গ্রামের বেশিরভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাড়িঘর, আবাদী জমি হারিয়ে তিন শতাধিক এর ঊর্ধ্বে পরিবার হয়েছে সর্বস্বান্ত। ভাঙ্গনে পাল্টে যাচ্ছে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মানচিত্র। বার বার জানানোর পরেও নদীভাঙ্গন রোধে দায়সারা কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, জোরালো ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বগুড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনসার তেলি, মোতালেব হোসেন, রফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে প্রবল স্রোত বইছে। প্রায় আরাই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন চলছে। ফসলি জমির মাটি ভেঙ্গে নদীতে আছড়ে পড়ছে। ভাঙ্গনে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, আধাপাকা বাড়ি, পাকা রাস্তা, ফলের বাগান ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত গ্রামের চার ভাগের দুই ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ভয়ে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। গত কয়েকদিনে প্রায় ৩৫০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, নদীভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসনকে বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কি করবে সরকারিভাবে যে ধরনের চেষ্টা করা দরকার করা হচ্ছে, আর আমার পক্ষ থেকে যতটুকু চেষ্টা সেটা আমি করতেছি, এটাতো টেম্পোয়ারি কাজ, গত বছর ওই এলাকা নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে আমি পদক্ষেপ নিলাম ফ্রান্ড ক্রিয়েট করলাম তখন এলাকার লোক ক্ষেপে গেল জমির উপর দিয়ে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে দিবেনা, তারা বললেন, আইঙ্গের টেকা কেরা দিব চেয়ারম্যান সাহেব, হাজার হাজার মানুষ সেখানে, চার পাচটা লোক বাঁধা দিল কাজটি আর হলো না। উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে ওই এলাকার কিছু লোক চাঁদা চায়, আর কাজে ডিস্টার্ব করে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.